অগ্নিমূল্য! শুভেন্দুর নিশানায় মমতার সরকার

বাজারে আগুন! কোথায় রাজ্য সরকারের টাস্ক ফোর্স? মানুষ খাবে কী? মেনুতে কাটছাঁট। কেন্দ্রের বিনা পয়সার চালে ভাত ফুটিয়ে তারপর? কী দিয়ে খাবে মানুষ?

author-image
Pallabi Sanyal
New Update
124

ফাইল ছবি

নিজস্ব সংবাদদাতা : চড়া বাজারদরে দীর্ঘশ্বাস ফেলছে মধ্যবিত্তরা। পকেটে টান। কী খাবে আর কী খাবে না তা নিয়ে মেনুতে চলছে কাটছাঁট। আকাশছোঁয়া দাম নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের। আগুন সবজির বাজার থেকে মাছের বাজার, মাংসের বাজারেও। এই পরিস্থিতিতে চড়া দাম নিয়ে একে অপরকে কাঠগড়ায় তুলছে শাসক ও বিরোধী। ভোটের মুখে এবার রাজ্য সরকারকে বাজারদর নিয়ে খোঁচা দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আজকের বাজারদর পোস্ট করে লাগামছাড়া দামের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকেই কাঠগড়ায় তুললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। 

শীতে ঠান্ডা সবজির বাজার

তৃণমূল সরকারকে কটাক্ষ করে ট্যুইট বার্তার শুরুতেই শুভেন্দু প্রশ্ন করেন,  ''আরে ও নন্দলাল, গরীব মানুষের পাতে কি জুটবে শুধু নুনের সাথে মোদীজির দেওয়া বিনা পয়সার চাল?'' এক মাস আগের বাজারদরের সঙ্গে চলতি মাসের বাজারদর দেখলে বোঝা যায় আনাজের দাম নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত এমনকি উচ্চ মধ্যবিত্ত পরিবারের ও নাগালের বাইরে। এমনকি এ কথা বললে মোটেও বাড়াবাড়ি হবে না যে সব্জির দাম এই মুহূর্তে সর্বকালের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। এরপর প্রশাসনের দিকে আঙুল তুলে শুভেন্দু লিখেছেন, ''প্রশাসনের তরফে যথাযথ ব্যবস্থা না নেওয়ার ফলেই আজ আনাজের দাম মাত্রা ছড়িয়ে গিয়েছে। আনাজের দাম নিয়ন্ত্রণ করার জন্য মুখ্যমন্ত্রী অনেক ঢাক ঢোল পিটিয়ে "টাস্ক ফোর্স" গঠন করেছিলেন, যার উদ্দেশ্য ছিল হঠাৎ করে বাজার হাটে শাক-সব্জির দাম বেড়ে গেলে তা নিয়ন্ত্রণ করা। কিন্তু আদতে এর প্রতিফলন কখনোই দেখা যায় না।আর লোক দেখানো পদক্ষেপ গ্রহণ করে আনাজের দাম শুধুমাত্র "সুফল বাংলা" বিপণিতে কিছুটা কমিয়ে দিলে তার প্রভাব ৫ শতাংশ লোকের ওপরেও পড়ে না। '' 

বাংলাদেশের মাছের বাজার / দেশী তাজা মাছের বাজার / Amazing Fish Market in  Dhaka / Biggest Fish Market - YouTube

মুরগি পালনের জন্য যেসকল ঔষধ (Mrdicine) ব্যবহার করা হয়

শুভেন্দুর দাবি, জুন মাসের গোড়ায় যেখানে বেশিরভাগ সব্জির দাম চল্লিশ থেকে পঞ্চাশ টাকার মধ্যে ছিল তা আজ অবিশ্বাস্য ভাবে বেড়ে গেছে। টমেটোর প্রতি কেজির দাম ছিল ৩০ - ৩৫ টাকার মধ্যে। আদার প্রতি কেজির দাম ছিল ২৫০ টাকার আশেপাশে। বেগুনের দাম ছিল প্রতি কেজি ৪০-৫০ টাকা। পটলের কেজি প্রতি দাম ছিল ২৫-৩০ টাকা। উচ্ছের দাম ছিল ৫০ টাকার আশেপাশে। পেঁপের দাম ছিল ২৫ টাকা কেজি। কাঁচা লঙ্কার দাম ছিল ৬০-৭০ টাকা কেজি। পালং শাকের এক আঁটির দাম ছিল ১০ টাকা মত। রুই-কাতলা (কাটা) মাছের প্রতি কেজিতে দাম পড়ছিল ২০০ টাকা থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে।  মুরগি মাংসের দাম প্রতি কেজিতে ১৮০-২০০ টাকার মধ্যে ওঠানামা করছিল।