'জাস্টিস ফর আরজি কর', ফের প্রতিবাদে সামিল তিন প্রধানের সমর্থকরা!

আরজি কর কাণ্ডে উত্তাল গোটা দেশ।

author-image
Aniruddha Chakraborty
আপডেট করা হয়েছে
New Update
ল;,ম

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ ফের তিন প্রধানের এক স্বর, 'জাস্টিস ফর আর জি কর'। আরজি কর কাণ্ডের বিচার চেয়ে বেলঘরিয়া ক্লাব প্রতিষ্ঠান সম্বন্বয় সমিতির ডাকে প্রতিবাদে সামিল ময়দানের তিন প্রধান মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল ও মহমেডান সমর্থকরা। 

রথতলা মোড়ে তিন প্রধানের সমর্থকেরাই একসঙ্গে মিলে কাঁধেকাঁধ মিলিয়ে জোর গলায় তুললেন আওয়াজ। প্রিয় ক্লাবের জার্সি পরে, ফ্ল্যাগ হাতে নিয়ে অগণিত সমর্থকরা শনিবার রাতে রাস্তায় নামেন। শুধু ক্লাবের সমর্থকেরা নন, বিভিন্ন মহলের কলাকুশলীরাও উপস্থিত এই প্রতিবাদ সভায়। কেউ ক্যানভাসে রং তুলির মাধ্যমে ছবি আঁকলেন, কেউ আবার গানে, নাচের মাধ্যমে প্রতিবাদে মুখর হন। সেখানে অল্প বয়সী থেকে প্রবীণ নাগরিক সকলেই একসঙ্গে ন্যায়ের দাবিতে অবিচল। 

উল্লেখ্য, ১৮ অগাস্ট এক অভূতপূর্ব ঘটনার সাক্ষী থেকেছিল ভারতীয় ফুটবলমহল। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী লাল হলুদ এবং সবুজ মেরুনকে সর্বদাই প্রতিস্পর্ধায় ব্যস্ত থাকতে দেখা যায়। তা সে মাঠে ফুটবলাররা হোক বা মাঠের বাইরে, গ্যালারিতে দুই দলের সমর্থকরা হন। কিন্তু রবিবাসরীয় এক বিকেল ঘুচিয়ে দিয়েছিল সমস্ত বিভেদ। একজোটে আরজি কর কাণ্ডে বিচারের দাবি জানিয়েছিলেন তিন প্রধানের সমর্থকরা। বাইপাসের ধারে দেখা গিয়েছিল মোহনবাগান সমর্থকের কাঁধে চেপে ইস্টবেঙ্গল সমর্থকের ন্যায়ের ডাক। যে ছবি শিরোনাম কেড়ে নিয়েছিল। তারপর বারংবার ময়দানে বিভিন্ন টুর্নামেন্টে গোল করে ফুটবলাররা হোন বা ডুরান্ড কাপের ম্যাচে টিফো নিয়ে সমর্থকরা, উঠেছে সুবিচারের ডাক।

শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাতে ফের একবার সেই একই ছবি ধরা পড়ল যেখানে, লাল-হলুদ, সবুজ-মেরুন, সাদা-কালোর বিভেদ নেই, রয়েছে আর জি করে নিহত 'বোন', 'মেয়ে'র জন্য সুবিচারের ডাক। এই প্রতিবাদে উপস্থিত ছিলেন চিকিৎসক নারায়ণ মুখোপাধ্যায়। চিকিৎসক নারায়ণ মুখোপাধ্যায় বলেন 'আজ একমাস হতে চলল তাও ঘটনার বিচার হল না। সিবিআই, কলকাতা পুলিশ কেউই তো তেমন কিছু বলছে না, সবাই চুপ। কে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত, তা আমরা জানতে চাই না। আমাদের একটাই দাবি বিচার চাই। খুনিদের শাস্তি চাই। আর যতদিন না সুবিচার পাচ্ছি, ততদিন প্রতিবাদ চলব।'

প্রসঙ্গত, আর জি করে জুনিয়র ডাক্তারের মৃত্যুর পর ২৯ দিন পার হয়ে গিয়েছে। বর্তমানে মামলা সিবিআইয়ের বিচারাধীন। এখনও রায় ঘোষণা হয়নি। তবে, সোমবার, ৯ সেপ্টেম্বরই সুপ্রিম কোর্ট এই ঘটনার রায় জানানো হবে। তার আগের রাত ও ভোর দখলের ডাকও দেওয়া হয়েছে।