লকেট যাত্রা শিল্পী, ভাল অভিনয় করেন! মণিপুর নিয়ে কান্নায় কটাক্ষ শোভনদেবের

মণিপুরে এবং বাংলায় মহিলাদের উপর হওয়া হেনস্থা নিয়ে সরগরম পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতি। লকেট চট্টোপাধ্যায় বাংলায় বিজেপি কর্মীর উপর অন্যায়ের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন। এবার সেটাকে কটাক্ষ করলেন তৃণমূল নেতা।

author-image
Anusmita Bhattacharya
New Update
locketcry

ফাইল ছবি

নিজস্ব সংবাদদাতা: হাওড়ার একটি বুথে পঞ্চায়েত ভোটের দিন বিজেপির এক মহিলা প্রার্থীকে হেনস্থা করা হয়েছে, এই অভিযোগ করার সময়ে কেঁদে ফেলেন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। যদিও পরে রাজ্য পুলিশের ডিজি বিষয়টি নিয়ে দাবি করেন যে কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এবার বিষয়টি নিয়ে মুখ খুললেন তৃণমূল নেতা শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।

শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, 'বাংলার মহিলারা প্রতিষ্ঠিত, সম্মানিত। দেশের অন্য কোথাও এমন নেই। আসলে চ্যানেলে চ্যানেলে যাতে ওদের দেখানো হয়, তাই এই সব করছে, বলছে। আসলে নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে এটা বলছেন। আর লকেট চট্টোপাধ্যায় যাত্রা শিল্পী, অভিনয় করেন। আর গ্লিসারিন তো পাওয়াই যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মণিপুর নিয়ে মুখ খুলেছেন। আর ৭৮ দিন পরেও বিজেপি চুপ। ওদের লজ্জা হওয়া উচিত। বাংলায় একের পর এক কেন্দ্রীয় টিম, এজেন্সি। মণিপুরে কত বার গেছে? এই জন্যে সুপ্রিম কোর্ট মুখ খুলেছে। অনুরাগ ঠাকুর রাজনৈতিক ভন্ড। জনসমর্থন না থাকলে বারবার আদালতে যেতে হয়। এটা গণতন্ত্রে হয় না। মানুষ গণতন্ত্রের শেষ কথা। এর আগে বিজেপির দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন, চামড়া তুলে দেব, ছ’ফুট গর্ত করে ঢুকিয়ে দেব। তখন ওনারা কোথায় ছিলেন? আর কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে অভিষেক আন্দোলন করার কথা বলেছেন। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাড়ি ঘেরাও নয়, দূর থেকে করতে বলেছেন। ১০০ মিটার দূরত্বে যেতে বলেছেন। আর ক’দিন আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির ১০০ মিটার দূরত্বে ওরা মিটিং করেছে। কারও বাড়িতে যাতে কেউ না যায়, তার পরিবার যাতে হেনস্থার মধ্যে না পড়ে, সেটা আমরা দেখব'। আরও বলেন, 'এত অর্থ খরচ করেও বিজেপি আমাদের আটকাতে পারেনি। পঞ্চায়েত ভোট এর আগে এত ভালো কবে হয়েছে। মানুষ ওদের বর্জন করছে। দেশ বর্জন করবে এবার। একটা জোট তৈরি হয় একেকটা প্রেক্ষিতে। কেন্দ্রে স্বৈরাচারী সরকার রয়েছে এটা মানুষ বুঝতে পেরেছে। তাই প্রতিবাদ হচ্ছে'।

এদিকে পাঁচলায় যে মহিলা কর্মীর উপর অত্যাচার হয়েছে তিনি সম্প্রতি সংবাদ মাধ্যমে মুখ খুলেছেন এবং তৃণমূলকে এর জন্য দায়ী করেছেন সরাসরি। দাবি করেছেন যে ভোট কেন্দ্রের বাইরে তাঁকে টেনে নিয়ে যাওয়া হয় এবং ফেলে দেওয়া হয়। জামাকাপড়ও নাকি ছিঁড়ে দেওয়া হয় ওই মহিলার। তবে রাজ্য পুলিশের ডিজি বলেছেন অভিযোগকারীনি যথেষ্ট প্রমাণ দেখাতে পারেননি এর স্বপক্ষে।