নিজস্ব সংবাদদাতা: চাঁদ থেকে সূর্যে পাড়ি দিয়েছে তাঁর স্বপ্ন। এবার লক্ষ্য আরও বড় কিছু। এইভাবেই এগিয়ে চলেছেন বাংলার ছেলে শুভ্রদ্বীপ। একসময় পরিচিত মানুষদের কাছের হলেও আজ সে বাংলার ঘরে ঘরে পরিচিত, বাংলার ঘরে ঘরে আপন। মধ্যবিত্ত পরিবারে থেকেও যে আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্ন পূরণ করা যায়, তা বুঝিয়ে দিয়েছেন ইসরোর বিজ্ঞানী শুভ্রদ্বীপ ঘোষ।
চন্দ্রযান-৩ অভিযানের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত ছিল সে। বর্তমানে আদিত্য এল-১-এর কাজের সাথে যুক্ত। গড়িয়ার বাসিন্দা, পাঠভবনের পড়ুয়া এই মেধাবী শুভ্রদ্বীপ। স্বপ্ন ছিল মহাকাশ বিজ্ঞানী হওয়ার। সেই স্বপ্ন আজ সফল ভাবে পূরণ করেছে সে।
এবার তাঁর আরও এক স্বপ্ন পূরণ করার দায়িত্ব নিয়েছে ‘ফাইভেম ইঞ্জিনিয়ার্স’ নামক একটি সংস্থা। মহাকাশ বিজ্ঞানী শুভ্রদীপ ঘোষের বাড়িকে সুন্দরভাবে সাজিয়ে দিতে এগিয়ে এসেছে এই সংস্থা। এমনকি শুভ্রদ্বীপকে তারা এই সম্পূর্ণ কাজটি উপহার দিতে চায়। আসলে বাংলার গর্ব সে, তাই তাঁর জন্যে এইটুকু কাজ করে দিতে চান সংস্থার কর্ণধার। বাড়ি সাজিয়ে দেওয়ার জন্যে একটি পয়সাও তারা নিচ্ছেন না শুভ্রদীপের থেকে। এমনকি বাড়ি সাজিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে ভবিষ্যতেও শুভ্রদীপের থেকে কোনো অর্থ নেবেন না বলে জানিয়েছেন এই সংস্থার আর্কিটেক্ট তথা সমাজসেবিকা শ্রমণা দলুই (দত্ত)।
তাঁর কথায়, ‘শুভ্রদীপের মতো এক প্রতিভা দেশকে এতটা গর্বিত করেছে। সেখানে তার প্রতি সামান্য এই শ্রদ্ধা জানাতে পারলে আমরা খুশী হব। আগামী প্রজন্মের কাছে সে উদাহরণ হয়ে উঠবে’।
১৯৪৪ সাল থেকেই ফাইভেম ইঞ্জিনিয়ার্সের যাত্রা শুরু। বর্তমানে এই ব্যবসার দায়িত্বে রয়েছেন শ্রমণার বাবা শ্রী মৃণাল কুমার দলুই। সেই সঙ্গে গত কয়েক বছর ধরে তাঁর কন্যা, আর্কিটেক্ট ও সমাজসেবিকা শ্রমণা দলুই দত্ত এবং সিনিয়র আর্কিটেক্ট সায়ন দত্ত যৌথ ভাবে এই অফিসের দায়িত্ব নিষ্ঠার সাথেই এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। আর তাই এবার শুভ্রদ্বীপ ঘোষের জন্যে কিছু করতে চাইছেন তারা। নতুন রূপে সাজাতে চাইছেন শুভ্রদ্বীপের ‘আশিয়ানা’।