নিজস্ব প্রতিনিধি: মা আসছে, আর হাতেগোনা কয়েকটা দিন বাকি। বাঙালির সবথেকে বড় উৎসবের শুরু হচ্ছে। আপামর বাংলা, আপামর বাঙালি মেতে উঠবে আনন্দে, ঢাকের তালে। কারণ বাঙালির কাছে এই পুজোর কোনও বিকল্প হয় না।
আমরা কথা বলেছিলাম সন্তোষপুর ত্রিকোণ পার্কের পুজোর সেক্রেটারি সৌভিক ভট্টাচার্যর সঙ্গে। দক্ষিণ কলকাতার থিমপুজোগুলির মধ্যে এখন সন্তোষপুর ত্রিকোণ পার্কের পুজো এক বিশেষ জায়গা করে নিয়েছে দর্শনার্থীদের মনে। তাই সেই পুজোর এবারের খবর রইল আপনাদের জন্য সবার আগে এনএনএম নিউজে। সৌভিক ভট্টাচার্যর কাছে জানলাম তাদের এবারের ভাবনা ও অন্যান্য খুঁটিনাটি বিষয়ে।
প্রথমেই আসে ভাবনা অর্থাৎ থিম। সন্তোষপুর ত্রিকোণ পার্কের এবারের ভাবনা "উদযাপন"। এই বিষয়ে সৌভিক জানান, "আমাদের যে সংবিধান তার ৭৫ বছর এবং আমরা যে কষ্ট করে চড়াই-উৎরাইয়ের মধ্যে দিয়ে এগিয়ে এসেছি সেই পুজোর ৭৫ তম বর্ষ। তাই আমাদেরও এই পুজোর ৭৫ বছর। তাই আমরা এই থিমটাকে উদযাপন নাম দিয়েছি। আমরা মূল যেটা কাজ করছি পুজো মানেই তো শিল্প এবং সংস্কৃতি নিয়ে কাজ হয়। তো আমরা এই সংবিধানের যে বইয়ের পাতা তার উপরে বা নিচে দেখলে বোঝা যাবে কিছু শিল্প-সংস্কৃতি নিয়ে কাজ আছে। সেটাকে নিয়েই আমরা মূলত কাজ করতে চলেছি। পুরোটাই হল সংবিধানের বইয়ের উপরের পাতায় যে কাজ রয়েছে সেটা নিয়ে আমাদের কাজ"।
আজকালকার ট্রেন্ডিং থিমপুজো মানেই কম্পিটিশন। এবারের সেই প্রতিযোগিতায় এগিয়ে থাকা নিয়ে সন্তোষপুর ত্রিকোণ পার্ক কতটা আত্মবিশ্বাসী সেই সম্পর্কে সৌভিক বলেন, "আমরা আশাবাদী কারণ প্রথমত, কলকাতায় এরকম কাজ কোথাও হচ্ছে না। দ্বিতীয়ত, যিনি কাজ করছেন অর্থাৎ মূল যে শিল্পী তিনি শিল্পীসত্তার দিক থেকে হলেন আমাদের কাছে উত্তম কুমারের মতো। নাম জয়শ্রী বর্মন। তার সম্প্রতি কাজ রাধিকা মার্চেন্টের লেহেঙ্গা ডিজাইন করে জনপ্রিয় হয়েছেন। এছাড়াও কলকাতার বিভিন্ন মন্ডপে উনি কাজ করেছেন। ২০১৬ সালে উনি কাজ করেছেন। তার কাজের ধরনটাই আলাদা। আমরা একদিকে যেমন পিছিয়ে পড়ছি আর জি কর কাণ্ডের জন্য, অনেক লোক হয়তো পুজো বিরোধী হয়ে উঠছে, ঠিক আরেক দিক থেকে আমরা যা কাজ নিয়ে এগিয়েছি আপনারা আসলে বুঝতে পারবেন এবং কাজের যে প্যাটার্ন সেই সবদিক থেকেই আশাবাদী"।