নিজস্ব সংবাদদাতা: এবার জহর সরকারকে নিয়ে এক বিশেষ পোস্ট করলেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা সন্দীপন মিত্র। রীতিমতো কটাক্ষ করেছেন তিনি জহর সরকারকে। আজ জোহর সরকার তৃণমূলের রাজ্যসভার সদস্যপদ এবং দলের সদস্যপদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাঠিয়ে দিয়েছেন। তারপরে রীতিমতো বাংলার রাজনীতিতে উঠেছে ঝড়।
কেন চিঠি পাঠিয়েছেন এবং কেন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সেখানে পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন যে আরজিকর ঘটনার প্রতিবাদে সরকারের পদক্ষেপে তিনি অসন্তুষ্ট। এছাড়াও সরকারের নানা নেতা-মন্ত্রীর বিরুদ্ধে যে অন্যান্য দুর্নীতির অভিযোগগুলি রয়েছে তাতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূমিকা যথেষ্ট নয় বলে মনে করেন জহর সরকার।
এই নেতা লেখেন, আর. জি. করের ঘটনার প্রতিবাদে রাজ্যসভার তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিলেন জহর সরকার। খুব ভালো। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উচিত এই ধরনের অভিজাত লোকদের টিকিট দেওয়া বন্ধ করা। সাংসদ পদের সঙ্গে সম্পৃক্ত সুযোগ-সুবিধাগুলো ভোগ করা ছাড়া গত তিন বছরে তিনি দলের জন্য কী করেছেন?
তারপরেই তার দাবি, কুনাল ঘোষকে আবার রাজ্য সভায় পাঠানো উচিত।
তিন বছর আগে তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ পদ গ্রহণ করেন যোহর সরকার। জহর সরকার ইস্তফা দিতেই তৃণমূলের নানা নেতারা দেখছেন ক্ষোভ। দেবাংশু ভট্টাচার্য যেমন করেছেন কটাক্ষ তেমন এই নেতাও করলেন নিশানা তাকেই। ২০১১ সালে বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলে যোগ দেন কুণাল ঘোষ। এরপর রাজ্যসভায় সাংসদ পান পান তিনি। দীর্ঘ ঘাত-প্রতিঘাতের পরও দলের প্রতি আনুগত্য না হারানোর জন্যই কি কুণালের হয়ে এমন দাবি?