নিজস্ব সংবাদদাতা: সন্দীপ ঘোষ ঠিক কতোটা প্রভাবশালী? এই প্রশ্নটার উত্তরেই হইতো লুকিয়ে রয়েছে যাবতীয় রহস্য। কেননা একজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ থেকেও কি করে তাঁর প্রভাব চলছে চিকিৎসা পরিষেবার মতো গুরুত্বপূর্ণ সেক্টরে। শুধু কি সে আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ বলেই এই প্রভাব বিস্তার নাকি রয়েছে অন্য কোনও সমীকরণ? এই মুহুর্তে সন্দীপ ঘোষ ধোঁয়াশা ছাড়া আর কিছুই নয়।
রাজ্য মেডিক্যাল কলেজের ওয়েবসাইটে সন্দীপ ঘোষের স্ট্যাটাস ঘিরে বিতর্ক ফের নতুন করে শুরু। এবার তাঁর রেজিস্ট্রেশন বাতিল নিয়ে উঠছে একাধিক প্রশ্ন। আদৌ কি বাতিল হয়েছে সন্দীপের রেজিস্ট্রেশন? নাকি মেডিক্যাল কাউন্সিল থেকেই এই সবই ছিল জাস্ট আই ওয়াশ? সেই নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা।
যা জানা যাচ্ছে, গত ১৯ সেপ্টেম্বর রেজিস্ট্রেশন বাতিল হয়েছিল প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের। তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় সিবিআইয়ের হাতে এই মুহূর্তে ধৃত সন্দীপ ঘোষ। তাঁর ডাক্তারি রেজিস্ট্রেশন বাতিলের দাবি ছিল অনেক দিনের। এমনকি জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলনের অন্যতম দাবিই ছিল এটি। তাই সেই দাবিকে মান্যতা দিয়েই সন্দীপ ঘোষের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করেছিল রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল।
তবে সেই মেডিক্যাল কাউন্সিলের স্ট্যাটাস রিপোর্ট বলছে অন্য কথা। প্রথমে মৌখিক ভাবে সন্দীপ ঘোষের রেজিস্ট্রেশন বাতিলের কথা ঘোষণা করা হলেও পরবর্তীতে দেখা গিয়েছিল যে সন্দীপের নামের পাশে লেখা রয়েছে সাসপেন্ডেড। অথচ ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টরস ফোরামের দাবি মঙ্গলবার সন্ধ্যে থেকে সন্দীপের নামের পাশ থেকে হঠাৎই উধাও হয়ে গিয়েছে ‘সাসপেন্ডেড’ লেখাটি। তার বদলে পাশে লেখা হয়েছে ‘রেজিস্ট্রারড’। যা নিয়ে নতুন করে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। যদিও মেডিক্যাল কাউন্সিল বলছে কোনও ভাবে টাইপো মিস্টেক হয়েছে। এটা এমন কোনও বিষয় নয়। কিন্তু সত্যিই কি তাই? নাকি ভবিষ্যতে ফের স্বমহিমায় ফিরবেন সন্দীপ ঘোষ।