অভিষেককে আক্রমণে ‘পতিতা’ শব্দ! পরে লিখলেন 'যৌনকর্মী'

তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করতে গিয়ে যে বিশেষ এক শব্দ ব্যবহার করেছিলেন মহম্মদ সেলিম সেটা শুধরে নিলেন বিতর্কের মুখে।

author-image
Anusmita Bhattacharya
New Update
abhishekfalakata

ফাইল ছবি

নিজস্ব সংবাদদাতা: তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে রাজনৈতিক আক্রমণ করতে গিয়ে সোমবার শালীনতার সীমা লঙ্ঘন করার অভিযোগ ওঠে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের বিরুদ্ধে। অভিষেককে লক্ষ্য করে তাঁর টুইটে একটি বিশেষ শব্দের প্রয়োগ দলের অন্দরেও নিন্দার সৃষ্টি করে। সোমবারের সেই টুইট নিয়ে সেলিম দুঃখপ্রকাশ করেননি কাল। 

মঙ্গলবার সাতসকালে ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে টুইটের 'ভুল' শুধরে নিলেন সেলিম। সোমবার লেখেন যে সাংসদ এবং মাফিয়া ডন কয়লা দুর্নীতি থেকে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে যুক্ত অভিষেক তিনি নিউইয়র্ক সিটি থেকে শেয়ার করেছেন সেলফি। নেতা অভিযোগ করেন যে তাঁর দেশ ছেড়ে পালানোয় মদত দেয় বিজেপির 'বস'রা। তারপরেই সেই বিশেষ শব্দের প্রয়োগ করে সেলিম লেখেন যে নিজের পাহাড়-প্রমাণ সম্পত্তি গড়ে তুলতে অভিষেক ১৫ জন বিদেশি 'পতিতা'দের অ্যাকাউন্টের সাহায্য নিয়েছেন। টুইটে ইংরেজিতে 'প্রস্টিটিউট' শব্দটি লিখতেই শুরু বিতর্কের ঝড়। মঙ্গলবার সকালেই সেলিমের ফেসবুক পেজে একটি পোস্টার পোস্ট করা হয় দ্বিতীয় অংশে লেখা, '১৫ জন বিদেশি যৌনকর্মীর অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে টাকা পাচারে অভিযুক্ত' অভিষেক। তবে এখানে কোনও নাম তিনি উল্লেখ করেননি। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, যেহেতু সোশ্যাল মিডিয়ায় কয়লা ও নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িত সাংসদের কথা উল্লেখ করেছেন সেলিম এবং এক্ষেত্রে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কেন্দ্রীয় এজেন্সি জিজ্ঞাসাবাদও করেছে তাই সেলিমের নিশানায় তৃণমূলের সেনাপতিই রয়েছেন।

জানা যায় যে প্রাথমিকভাবে সেলিমের সোমবারের টুইটটি 'ডিলিট' করার কথা ভাবে দল। কিন্তু তাতে বিতর্ক আরও দানা বাঁধতে পারে বুঝে অন্য পন্থা অবলম্বন করা হয়। বামপন্থীরা পতিতা শব্দের ব্যবহার করে না। এমনকী সেটা নাকি বিশ্বাসও করে না। 'পতিতা' শব্দ লেখার কারণে দলের মহিলা নেতৃত্বে একাংশের সমালোচনার মুখে পড়েন রাজ্য সম্পাদক। 'পতিতা' বলা সেই মহিলাদের সম্মানার্থে তাঁদের যৌনকর্মী বলে সম্বোধন করা হয়।

চোখের চিকিৎসায় বিদেশে গিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।স্ত্রী রুজিরার সঙ্গে কলকাতা বিমানবন্দর থেকে দুবাই গিয়েছেন তিনি। প্রথমে দুবাই এবং সেখান থেকে আমেরিকা যাবেন এই তৃণমূল সাংসদ। চিকিৎসা ও অস্ত্রোপচারের জন্য সময় লাগবে। চিঠি লিখে ইডিকে আগেই এই সফর নিয়ে জানান অভিষেক। এই নিয়ে আদালতও জানায় যে চিকিৎসার প্রয়োজনে দেশের নাগরিক বিদেশে যেতে পারেন। শীর্ষ আদালতের তরফে সবুজ সংকেত পাওয়ার পরই দুবাই গিয়েছেন অভিষেক।