নিজস্ব সংবাদদাতা: প্রায় ৮ ঘণ্টার কিছু বেশি সময় পর ইডির অফিস থেকে অবশেষে বেরিয়ে গেলেন রুজিরা নারুলা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার বেলা ১১টায় সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে ইডির অফিসে ডেকে পাঠানো হয় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রীকে। এর আগেও অন্যান্য মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার মুখোমুখি হতে হয় তাঁকে। তবে এবার রুজিরাকে ডেকে পাঠানো হয় নিয়োগ মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য। নির্ধারিত সময়ের কিছু আগেই এদিন ইডির অফিসে হাজির হন তিনি। এরপর আট ঘণ্টারও কিছু বেশি সময় পরে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিস থেকে বেরলেন তিনি।
সম্প্রতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মা ও বাবাকেও ইডি তলব করে। তবে অভিষেকের বাবা অমিত বন্দ্যোপাধ্যায় ও মা লতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেউই ইডির অফিসে হাজিরা দিতে যাননি। জানা যায় যে অভিষেকের বাবা ইডিকে জানিয়েছেন বিশেষ কারণে তিনি যেতে পারেননি। অন্যদিকে লতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও নিজে ইডি অফিসে উপস্থিত না থাকলেও, আইনজীবী মারফত নিজের চিঠি পাঠিয়ে দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে। এরপর আজ রুজিরা ইডি অফিসে যাবেন কি না, সেই দিকে নজর ছিল বাংলার। তবে নির্ধারিত সময়েই বেলা ১১টার কিছু আগেই তিনি পৌঁছে যান সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিতে। ইডির তদন্তকারী অফিসারদের প্রশ্নোত্তর পর্বের মুখোমুখি হয়ে সন্ধে সাতটার কিছু পরে তিনি বেরিয়ে গেলেন সিজিও থেকে।
সম্প্রতি তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ খুলেছেন পরিবারের সদস্যদের ইডির ডেকে পাঠানোকে কেন্দ্র করে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে অপব্যবহারের অভিযোগ তোলেন তিনি কেন্দ্রের বিরুদ্ধে। অভিষেক দাবি করেন যে রাজনৈতিকভাবে পেরে না উঠেই এসব করা হচ্ছে তাঁদের বিরুদ্ধে। তবে পরিবারকে ডেকে পাঠালেও তাঁকে আটকানো যাবে না বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন অভিষেক।
সেভাবে কোনওদিনই প্রকাশ্যে খবরের শিরোনামে আসতে দেখা যায়নি রুজিরাকে। তবে এবার দুর্নীতির অভিযোগ উঠতেই ঘন ঘন ডেকে পাঠানো হচ্ছে তাঁকে। প্রথম ২০১৯ সালে কলকাতা বিমনাবন্দরে রুজিরার বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সোনা পাচারের অভিযোগ উঠেছিল। অভিযোগ ছিল অবৈধভাবে মাত্রারিক্ত সোনা ব্যাগে করে থাইল্যান্ড থেকে কলকাতায় আনেন তিনি। পরে শুল্ক বিভাগের সেই অভিযোগ খারিজ হয়ে যায়। দিল্লিতে পড়তে গিয়ে রুজিরার সঙ্গে আলাপ হয় অভিষেকের। উচ্চমাধ্যমিকের পর আইআইপিএম থেকে বিজনেস ম্যানেজমেন্ট পড়তে দিল্লি যান অভিষেক। সেখানেই নাকি তাঁর সহপাঠী ছিলেন রুজিরা।