'ED-CBI বিজেপির লোককে ধরলে খুশি হব'! বিস্ফোরক বিজেপি নেত্রী

নিজস্ব সংবাদদাতা: একুশের বিধানসভা ভোটে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ক্ষণে ক্ষণে বাংলায় এসেও হার আটকাতে পারেনি। বাংলাকে বঞ্চনার বিরুদ্ধে তার পর থেকে লাগাতার প্রতিবাদ করে গিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ১০০ দিনের কাজের টাকার দাবিতে দিল্লিতে ধর্নার দাবিও তুলেছেন। অভিযোগ, ভোটে হেরে কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলোকে কাজে লাগিয়ে বিরোধী নেতা-মন্ত্রীদের বারবার হেনস্তা করেছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। এবার বিজেপি নেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের মন্তব্যকে হাতিয়ার করে কেন্দ্রের 'চক্রান্তে'র বিরুদ্ধে সোচ্চার ঘাসফুল শিবির। 

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বুধবার ইডির দফতরে হাজিরা দিতে পৌঁছে গিয়েছেন অভিষেক। ইন্ডিয়া জোটের কো-অর্ডিনেশন কমিটির বৈঠকে যাওয়া আটকাতেই অভিষেককে একইদিনে ইডি দিয়ে তলব করে কেন্দ্র সরকার হেনস্তা করতে চাইছে বলে অভিযোগ তোলে তৃণমূল। তবে রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের বিস্ফোরক মন্তব্যই এবার হল তৃণমূলের তুরুপের তাস। এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাত্‍কারে বিজেপির রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ বলেন, 'যেদিন ইডি কিংবা সিবিআই আমার পার্টির একটি লোককে ধরবে, যে দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত আছে বা ছিল। আমি ভীষণ খুশি হব'। টুইটারে সাক্ষাত্‍কারের এই অংশটুকু তুলে কেন্দ্রকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছে আজ তৃণমূল। লিখেছে, বিজেপির হেভিওয়েট নেত্রী তথা প্রাক্তন রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ রূপা গঙ্গোপাধ্যায় নিজেই নিজের দলের উপর থেকে পর্দা সরিয়ে দিলেন। তিনিও নাকি মনে করেন, বিজেপির যাঁরা দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত, তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্ত হওয়া উচিত। গ্রেফতার করা না হলেও ইডি-সিবিআই অন্তত দুর্নীতিগ্রস্তদের বিরুদ্ধে তদন্ত করুক।

এদিকে ৭ ঘণ্টার বেশি হয়ে গেলেও এখনও অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদ শেষ হয়নি। এর আগেও একবার তৃণমূল সাংসদ এবং তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডেকেছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। তিনি হাজিরা দেননি। এবার প্রথমবার হাজিরা দিতে গেলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এর আগে গতকাল হাইকোর্টে গিয়ে রক্ষাকবচের জন্য আবেদন করেছিলেন তিনি। উদ্দেশ্য একটাই, যাতে গ্রেফতার না করে তাঁকে ইডি। এদিকে অভিষেক হাজিরা দিতে যাওয়ার কিছুক্ষণ আগেই সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস একটি বিশেষ পোস্ট করে সোশ্যাল মিডিয়ায় যেখানে বিজেপির এই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলিকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করার কৌশলের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস। এমনকি হাজিরার নোটিশ পাওয়ার পরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন অভিষেক। তিনি লেখেন যে যেদিন ইন্ডিয়া জোটের সমন্বয় বৈঠক ঠিক করা হয়েছে সেই দিনেই চক্রান্ত করে তাঁকে ডেকেছে ইডি।