আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর ফের সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলার শুনানি

আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টে আরজি করে মামলার শুনানি হবে। সেদিন রাজ্য সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ এবং তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

author-image
Debapriya Sarkar
আপডেট করা হয়েছে
New Update
Supreme court hearing

নিজস্ব প্রতিবেদন : আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টে আরজি করে মামলার শুনানি হবে। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চ মঙ্গলবার যে নির্দেশগুলো দিয়েছে, সেগুলোর কার্যকারিতা ও অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হতে পারে। এছাড়া রাজ্য সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ এবং তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

Supreme court hearing

মঙ্গলবারের শুনানিতে রাজ্য সরকার বিভিন্ন প্রশ্নের সম্মুখীন হয়। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চে সিবিআইয়ের তদন্তের অগ্রগতি সংক্রান্ত ‘স্টেটাস রিপোর্ট’ জমা দেওয়ার কথা ছিল, যা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা প্রদান করেছে। এই শুনানিতে রাতের কর্মক্ষেত্রে মহিলাদের জন্য রাজ্য সরকারের 'বিতর্কিত' বিজ্ঞপ্তি, জুনিয়র ডাক্তারদের চলমান কর্মবিরতি এবং পুলিশের ভূমিকা নিয়ে বিভিন্ন নিয়ে সওয়াল-জবাব চলে।

Meeting between Junior doctors and Mamata Banerjee

মঙ্গলবারের শুনানিতে প্রধান বিচারপতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইস্তফা সংক্রান্ত দাবিটি খারিজ করে দিয়েছেন। এরপর রাজ্য সরকারকে 'বিতর্কিত' বিজ্ঞপ্তি মুছে ফেলতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জুনিয়র ডাক্তারদের পক্ষে সওয়াল করেন আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিংহ। তিনি জানান, জুনিয়র ডাক্তারদের আস্থা অর্জনের জন্য রাজ্যের সঙ্গে বোঝাপড়াটি নথিবদ্ধ রাখতে হবে।

বুধবার শীর্ষ আদালত মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার তদন্তে সিবিআইয়ের স্টেটাস রিপোর্ট দেখে উদ্বেগ প্রকাশ করে। আদালত তদন্তের স্বার্থে রিপোর্ট প্রকাশ্যে না আনার নির্দেশ দেয় এবং প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে ছ’দফা নির্দেশ জারি করে:

১. উইকিপিডিয়া থেকে নির্যাতিতার নাম ও ছবি মুছে ফেলতে হবে।

২. নির্যাতিতার বাবার পাঠানো গোপনীয় চিঠির বিষয়গুলি প্রকাশ্যে আনা যাবে না।

৩. জেলাশাসক ও মেডিক্যাল কলেজের প্রতিনিধির সঙ্গে আলোচনা করে হাসপাতালে শৌচাগার এবং সিসিটিভি ক্যামেরা বসাতে হবে।

৪. মহিলা চিকিৎসকদের বিশ্রামের সময় বায়োমেট্রিক নিতে হবে।

৫. হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজ সিবিআইকে দিতে হবে এবং তদন্তে পুলিশকে সহযোগিতা করতে হবে।

৬. জুনিয়র ডাক্তাররা কাজে ফিরলে তাঁদের বিরুদ্ধে কোনো কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া যাবে না।

এখন এই নির্দেশনাগুলির কার্যকারিতা এবং বাস্তবায়ন নিয়ে আলোচনা হবে।