মল্লিক বাড়ি : ক্যালেন্ডার বলছে, দুর্গাপুজো আসন্ন। মাত্র ২০ দিন বাকি বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসবের। তবে এই বছর কলকাতার উৎসবের পরিবেশ যেন বদলে গেছে। প্রস্তুতি চলছে, কিন্তু বাতাসে সেই চেনা গন্ধ নেই। গোটা কলকাতা এখন আন্দোলন, স্লোগান ও বিচারের দাবিতে মুখরিত। আরজি কর কাণ্ডের প্রভাব মানুষের মনে এখনও স্পষ্ট, তিলোত্তমা এখনও বিচার পাননি—এই চিন্তা যেন বাংলার প্রতিটি মানুষকে কুঁড়ে কুঁড়ে খাচ্ছে।
/anm-bengali/media/media_files/zArdXtvVreQZUqviSKaq.jpg)
এমন পরিস্থিতিতে ১০০ বছরে পা রাখছে মল্লিক বাড়ির দুর্গাপুজো। রঞ্জিত মল্লিক ও কোয়েল মল্লিকের আদি বাড়ির এই পুজো পরিচিত গোটা কলকাতা বাসীর কাছে। তবে এবারে পূজোর প্রস্তুতি কেমন? জানুন কি বলল মল্লিক পরিবার।
/anm-bengali/media/media_files/XvlkKBcXhzRGu5m010rN.jpg)
জন্মাষ্টমীর দিন থেকে প্রতি বছর মল্লিকবাড়িতে ঠাকুর গড়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়, এবং এই বছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি। তবে পুজোর আনন্দ কিছুটা ম্লান মনে হচ্ছে। রঞ্জিত মল্লিক বলেন, "১০০ বছরে আমাদের বাড়ির পুজো কখনো বন্ধ হয়নি। পরিবারের বিপর্যয়, এমনকি মৃত্যুর মতো ঘটনার মধ্যেও পুজো চলেছে। প্রতিমার পরিবর্তনও হয়নি।"
তিনি আরও বলেন যে, "এই বছর আমরা অদ্ভুত পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। আরজি করের ঘটনা সবাই মনে রেখেছে, আমাদেরও সেই অভিজ্ঞতা আছে। ফলে পুজোর আনন্দে অনেকটা খামতি রয়ে গেছে। তবে পুজো বন্ধ হবে না। ১০০ বছরে পদার্পণ করছে আমাদের ভবানীপুরের পুজো, তাই বাড়ির পুজোর আয়োজন চলছে।"
/anm-bengali/media/media_files/sUK0EuKXcHE6w6SbonpB.jpg)
মল্লিকবাড়ির পুজো মানেই ভবানীপুরের বাড়ির অবারিত দ্বার, যেখানে চারদিন ধরে প্রতিমা দর্শনের পাশাপাশি তারকাদের দেখা পাওয়া যায়। কিন্তু ১০০ বছরে এই প্রথমবার পুজো জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে না। রঞ্জিত মল্লিক জানান, "এবারের পুজোর জন্য বাড়ির দরজা খোলা থাকবে না। এর মূল কারণ আরজি কর কাণ্ড। পরিস্থিতির জন্য পুজো হবে, কিন্তু উৎসবের আবহ নেই। এছাড়া, অনেক আত্মীয় এবারে বাড়িতে থাকবেন, তাই জনসাধারণের জন্য দরজা বন্ধ রাখতে হবে। আমরা এজন্য দুঃখিত।"