নিজস্ব সংবাদদাতা: সাত সকালে ফের অগ্নিকাণ্ড তিলোত্তমায়। আর তাঁর জেরে জীবন-মরণ যুদ্ধ লড়ছে এক তরুণ। সর্বস্ব হারিয়ে পথেই ঠাঁই একাধিক বাসিন্দার।
প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোডে গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে বাড়িতে আগুন লাগে। ওই বাড়িরই ২২-২৪ বছরের ছেলে অগ্নিদগ্ধ হন। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় MR বাঙুর হাসপাতালে। আশেপাশের আরও ৩-৪টি ঘর ক্ষতিগ্রস্ত। ঘটনাস্থল থেকে দুটি গ্যাস সিলিন্ডার উদ্ধার হয়েছে। দমকলের ৫টি ইঞ্জিন একঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
ঘিঞ্জি গলির মধ্যে ১৪৮ নম্বর প্রিন্স আনোয়ার শাহর রোডে এই দোতলা বাড়ি। স্থানীয়দের দাবি, এদিন ভোর সাড়ে ৫টা নাগাদ বাড়ির একতলায় রান্না করছিলেন এক মহিলা। সেই সময় গ্যাস সিলিন্ডার লিক করে আগুন ধরে যায়। মহিলা বেরিয়ে আসতে পারলেও, দোতলায় থাকা তাঁর ছেলে বেরোতে না পেরে অগ্নিদগ্ধ অবস্থাতেই ওপর থেকে ঝাঁপ দেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ঘটনাস্থল তাদের এলাকায় পড়ে না বলে টালবাহানা করে গলফ গ্রিন ও চারু মার্কেট থানার পুলিশ। লেক থানায় জানাতে বলে। ফলে একঘণ্টা দেরিতে আসে দমকল। ততক্ষণে আগুন অনেকটাই ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনাস্থল থেকে দুটি গ্যাস সিলিন্ডার উদ্ধার হয়েছে। অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
তবে স্থানীয়দের অভিযোগ, ভোট চাওয়ার সময় তো ভোট চাওয়া হয়, তখন মুখে বলা হয় আপনাদের পাশে আছি। তারপর বিপদে পড়লে কাউকে পাশে পাওয়া যায় না। এদিনের পুলিশের ভূমিকাতে যতটা ক্ষুব্ধ হন স্থানীয়রা, ঠিক ততোটাই বা তারও বেশি ক্ষুব্ধ হন কাউন্সিলরের ওপর।
স্থানীয়দের দাবি, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটার পরই কাউন্সিলরকে ফোন করা হয়। কাউন্সিলর ফোন ধরেননি। তারপর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে তিনি পৌঁছান প্রায় সাড়ে তিন ঘন্টা পর। তাঁকে দেখেই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে সব হারানো পরিবারগুলি। যদিও তাঁর সহজ সাফাই, ফোন সাইলেন্টে ছিল, তাই তিনি বুঝতে পারেননি।
স্বাভাবিক ভাবেই এই ঘটনায় নতুন করে প্রশাসনের ভূমিকা প্রশ্নের মুখে দাঁড়িয়েছে।