উত্তরে কমবে পারদ! দক্ষিণে?

মঙ্গলবার কি মিলবে স্বস্তি? দিনভর কেমন থাকবে আবহাওয়া? কতদিন থাকবে ভ্যাপসা গরম? উত্তরে বৃষ্টির পূর্বাভাস। আর দক্ষিণে? কী বলছে আবহাওয়া দফতর? জেনে নিন আপডেট।

author-image
Pallabi Sanyal
New Update
123

ফাইল ছবি


নিজস্ব সংবাদদাতা : বর্ষা চুটিয়ে উপভোগ করছে উত্তরবঙ্গ। দফায় দফায় বৃষ্টি। সঙ্গে মনোরম আবহাওয়া। পর্যটকরাও বেজায় খুশি। এদিকে ঠিক উল্টো পরিস্থিতি দক্ষিণবঙ্গের। বৃষ্টির অপেক্ষা করলেও হতে হয় নিরাশ। সপ্তাহান্তে অনেকে বৃষ্টির অপেক্ষায় থাকলেও লাভ হয়নি। সোমবারেও ছিটেফোঁটা বৃষ্টির দেখা মেলেনি শহরে। মঙ্গলবার সকাল থেকেই কড়া রোদ।  ঠিক যেন শরতের নীল আকাশ। এমতাবস্থায় বাড়ছে কষ্ট। আর্দ্রতাজনিত কষ্ট বজায় রয়েছে। সঙ্গে  ফিরেছে ঘাম। আজ কি বৃষ্টি হবে? প্রশ্ন এখন একটাই। এদিকে আবহাওয়া দফতর স্বস্তির খবর শোনালেও আবহাওয়া বিপরীত। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব এবং পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, মুর্শিদাবাদ, নদিয়াতে হালকা বৃষ্টিপাত হতে পারে। সেদিক থেকে দেখতে গেলে কলকাতা একপ্রকার বঞ্চিত। প্রথম থেকেই বৃষ্টি-ভাগ্য খারাপ শহরতলীর। চাতকের মতো কলকাতাবাসী বৃষ্টির অপেক্ষা করলেও আসে না বৃষ্টি। অনেকেই আবার বৃষ্টির আশায় ব্যাঙের বিয়ে দেয়, কত রকম সংস্কার করে বরুণদেবকে সন্তুষ্ট করতে। বৃষ্টি না হলে প্রভাবিত হবে চাষবাসও। কিন্তু বৃষ্টি কি দক্ষিণবঙ্গের পথ ভুলেই গেল? 

134 beautiful photo results - Pixabay


মঙ্গলবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩৫ ডিগ্রি এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি।

11 Things About the June Solstice


সপ্তাহের শুরুতে গ্রীষ্মের অনুভূতি হলেও চলতি সপ্তাহেই হাওয়া বদলাতে পারে বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা। সৌজন্যে ঘূর্ণিঝড়। জানা যাচ্ছে,বঙ্গোপসাগরে তৈরি হয়েছে সাইক্লোনিক সার্কুলেশন। উত্তর আন্দামান সাগরেও অবস্থান করছে আরেকটি সাইক্লোনিক সার্কুলেশন। দুয়ের জোড়া ফলায় বৃষ্টির আগমনের পথ সুগম হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। 

Low Pressure likely to form over Bay of Bengal by April 6; Check IMD's  forecast


তবে যতক্ষণ না পারদ কমছে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে বলছেন চিকিৎসকরা। রাস্তার ধারে ঠান্ডা পানীয়র দোকানগুলিতে বাড়ছে ভিড়। রোদ মাথায় দাঁড়িয়ে রঙিন ঠান্ডা পানীয় খাওয়ার থেকে ঘোল, ডাবের জল কিংবা ফলের রস খাওয়া যেতে পারে। জলের বোতলে গ্লুকোজ কিংবা নুন-চিনির জল রাখা যেতে পারে। ছাতা ব্যবহারের পাশাপাশি সুতির কাপড় দিয়ে ভালো করে মুখ-মাথা ঢেকে রাস্তায় বেরনোর পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। যতটা সম্ভব হালকা পাতলা খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। আবহাওয়া বুঝে সতর্কতা অবলম্বন করুন। বিশেষ করে যারা সারাদিন রোদ মাথায় কাজ করেন তাদের জন্য হিট স্ট্রোকের পরামর্শও জারি রয়েছে। যতটা সম্ভব রোদ এড়িয়ে চলুন। ঠান্ডা খাবার খান। শরীর ঠান্ডা থাকলে কষ্ট কমবে। স্কুল খুলে যাওয়ায় সমস্যায় পড়ছেন অভিভাবকরাও। ছোট ছোট বাচ্চাদেরও কষ্ট। সব মিলিয়ে অস্বস্তিকর আবহাওয়ায় নাজেহাল মানুষ।