দূষণে কে কাকে পিছনে ফেলবে, জোর টক্কর দিল্লি বনাম বাংলার

নিয়মের কড়াকড়ি, পুলিশি নজরদারি কার্যত সব বেসামাল হল।

author-image
Atreyee Chowdhury Sanyal
New Update
mumbai diwali

File Picture

নিজস্ব সংবাদদাতা: আলোর উৎসব দীপাবলি, তবে সেই কথা রাতারাতি বদলে গেল দীপাবলির রাতেই। যত রাত বাড়লো ততোই যেন শব্দবাজির উৎসবে পরিণত হল কালীপুজোর রাত। যার ফলস্বরূপ, দূষণে ঢেকেছে আকাশ-বাতাস। গতকাল সন্ধ্যা থেকেই শুরু হয়েছিল শব্দ দানবের তাণ্ডব, রাত যত বাড়লো ততো দাপটও বাড়লো। দীপাবলির রাতে রাজধানীকে কাঁটায় কাঁটায় টক্কর দিল দেশের পূর্বতন রাজধানী কলকাতা। 

নিয়মের কড়াকড়ি, পুলিশি নজরদারি কার্যত সব বেসামাল হল। রাতভর চললো শুধু শব্দবাজির দাপট। উত্তর থেকে দক্ষিণ, মধ্য কলকাতা, কলকাতার শহরতলী কোনও অংশই ছাড় পেল না এই দূষণ থেকে। কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের তথ্য অনুযায়ী, রাত ১১ টায় গোটা কলকাতায় বাতাসের মান সূচক ছিল ১৭০। রাত গড়াতেই দূষণ আরও বাড়ে। 

তথ্য অনুযায়ী, রাত ১০.৪৫ মিনিটে রবীন্দ্র সরোবরে বাতাসে মানসূচক ছিল ১৯০। ফোর্ট উইলিয়াম চত্বরে সেই মাত্রা ছিল ১৮৩, ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে ১৮২। রাত ৯টার সময়ই বাতাসের মান ছিল ১৭০। 

fire crackers.jpg

যাদবপুরেও দূষণের চিত্র ছিল ভয়াবহ। বাতাসের AQI লেভেল ছিল ১৮৪। এছাড়া ঢাকুরিয়াতে ১৬৪, চেতলায় ১৭৮, বালিগঞ্জে ১৪২। হাওড়ার পরিস্থিতিও খারাপ ছিল এদিন। রাত যত বেড়েছে, ততোই বেড়েছে ভয়ঙ্কর শব্দবাজির দাপট। রাত ১১টার হিসেবে বাতাসের AQI লেভেল ছিল ১৫০ থেকে ১৬০-এর মধ্যে। 

অন্যদিকে, দিল্লি হয়ে উঠেছিল প্রতিবছরের ন্যায় এবছরও ‘দূষণের রানী’। রাত ১১টায়, দিল্লির আনন্দ বিহারে বাতাসের মান ছিল ৫০০। আইটিও, এয়ারপোর্ট এলাকাতেও দূষণের সূচক ছিল ৫০০। এখানেই দিল্লিকে জোর টক্কর দিয়েছে কলকাতাও। ওই সময়ই কলকাতার বালিগঞ্জে AQI লেভেল ছিল ৪৮৮। হাওড়ার ঘুষুরিতে ৩০৪ এবং যাদবপুরে ছিল ২২৭। আর যত রাত বেড়েছে এই মাত্রাও বেড়েছে।