নিজস্ব সংবাদদাতাঃ এবার ভাঙরের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির (Naushad Siddiqui) বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের করল পুলিশ। তৃণমূল (TMC) কর্মী রাজু লস্করের খুনের মামলায় কাশীপুর থানায় নওশাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। ১৫ জুন মনোনয়ন সংঘর্ষে খুন হন ওই তৃণমূল কর্মী রাজু।
এদিকে নওশাদ সিদ্দিকি সহ ৬৮ জন আইএসএফ (ISF) কর্মীর বিরুদ্ধে ইচ্ছাকৃত খুন ও অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করেছে কাশীপুর থানার পুলিশ। এদিকে আইএসএফ বিধায়ক নওশাদের হুঙ্কার, ‘এটা তৃণমূলের রাজনৈতিক প্রতিহিংসা। কিন্তু আমি ভয় পাই না।‘
এদিকে সম্প্রতি ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্টের (আইএসএফ) বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি প্রাণহানির ভয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। এদিকে আদালত তাঁর আবেদনে সাড়া দিয়ে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট।
আগামী ৮ জুলাই পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত ভোট হওয়ার কথা রয়েছে। ভোটগণনা হবে ১১ জুলাই। যদিও পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার সময় বারবার একাধিক জেলায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
সবথেকে বেশি অশান্ত হয়েছে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার ভাঙর। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি পুলিশকে লক্ষ্য করে ছোঁড়া হয় বোমা, ইট। এদিকে নিজের ক্ষেত্র ভাঙরের এহেন অবস্থা দেখে তড়িঘড়ি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন নওশাদ।
তিনি চিঠি লেখেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকেও। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে লেখা চিঠিতে বিধায়ক লেখেন, "রাজ্যে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে মনোনয়ন পর্ব চলছে। কিন্তু ১৩ জুন ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেসের গুন্ডারা ভাঙরে নজিরবিহীন সহিংসতা চালায়। ১৪ জুন তারা সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে এবং আমাদের প্রার্থী ও অন্যান্য বিরোধী প্রার্থীদের মনোনয়ন পত্র জমা দিতে দেয়নি। ১৪ জুন আমি যখন আমার গাড়িতে অপেক্ষা করছিলাম, তখন কয়েকজন দুষ্কৃতী এসে আমাদের দলের দু'জনকে মারধর করে। শুধু তাই নয়, তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা প্রকাশ্যে আমাকে মারাত্মক পরিণতির হুমকি দিচ্ছেন।“
শুধু তাই নয়, নতুন করে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ভোটে কারচুপির অভিযোগ তুলে আদালতের দ্বারস্থ হতে চলেছেন আইএসএফ বিধায়ক। আগামী ৮ জুলাই রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Vote 2023) হওয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু এদিকে ভোটের আগেই একের পর এক আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে যাচ্ছে শাসক দল তৃণমূল (TMC)। অন্যদিকে রাজ্য নির্বাচন কমিশন একাধিক বাম, আইএসএফ কর্মীর মনোনয়ন বাতিল করে দিয়েছে বলে অভিযোগ। কমিশনের বক্তব্য, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার কারণে বহু প্রার্থীর নমিনেশন বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। এদিকে ভাঙড় ২ পঞ্চায়েত সমিতির ১৪ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছে তৃণমূল।