স্পেশাল ২৬-এর আদলে নকল আয়কর অফিসারের হানা, গ্রেফতার চার

শ্রীরামপুরে নকল আয়কর দফতরের আধিকারিক সেজে হানার ঘটনায় পুলিশ চারজনকে গ্রেফতার করেছে। শুক্রবার রাতে কসবা থানা এলাকা থেকে চার জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। লুঠের জিনিসের সন্ধান শুরু করেছে পুলিশ।

author-image
Tamalika Chakraborty
New Update
income tax odduce esit .jpg


নিজস্ব সংবাদদাতা: শ্রীরামপুরে সোনা গলানোর দোকানে নকল আয়কর অফিসার সেজে লুঠপাঠের ঘটনায় পুলিশ ইতিমধ্যে চার জনকে গ্রেফতার করেছে। শুক্রবার রাতে কলকাতার কসবা থানা এলাকা থেকে চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। 

পুলিশ সূত্রের খবর, ধৃত চার জন হলেন, সাগর কাপ্তে, প্রশান্ত মুলিক, দাত্তা বাঙেল, চেতন প্রকাশ। সাগর কাপ্তে প্রথমে বড়বাজার এলাকাতে থাকতেন বলে জানা গিয়েছে। তারপর সে কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন সময় থাকতে শুরু করে। আগে সে সোনা গলানোরই কাজ করত। মুম্বাই তথা মহারাষ্ট্রে যারা সোনা গলানোর কাজে যেতেন, তাঁদের সঙ্গে সাগর কাপ্তের ভালো যোগাযোগ রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বদ সঙ্গে পড়ে যাওয়ার পর থেকে সাগরের টাকার প্রতি লোভ বাড়ে। সেখান থেকেই সাগর এই ধরনের কাজের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে। সাগর যেহেতু নিজে সোনার কাজের সঙ্গে দীর্ঘদিন যুক্ত ছিল। সে জানত, সোনার ব্যবসায় কিছু অস্বচ্ছ্বতা থাকে। সেই অস্বচ্ছ্বতার জন্য কেউ সোনা গলানোর জায়গায় লুঠপাঠ করলে, পুলিশে খবর দেওয়া হবে না। শ্রীরামপুরের ঘটনা প্রথম নয়। এর আগে একাধিক জায়গায় সে নকল আয়কর অফিসার সেজে লুঠ করেছে। সাগর মূলত পরিচিতদের নিশানা করত বলে পুলিশ সূত্রের খবর। 

জানা গিয়েছে, কিছু দিন আগে সাগর বটতলা এলাকায় নকল আয়কর সেজে সোনা গলানোর কারখানায় গিয়ে লুঠ চালিয়েছে। কিন্তু শ্রীরামপুরের ঘটনায় মালিক কর্তৃপক্ষ পুলিশি তৎপরতা চালায়। সেখান থেকেই সাগর কাপ্তে ধরে পড়ে যায়। পুলিশ সূত্রের খবর, এই ঘটনা সঙ্গে আরও একজন রয়েছে। পুলিশ এখনও তার সন্ধান পায়নি। পুলিশ জানিয়েছে, উদ্ধার করা হবে লুঠ করা সোনা। 

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার রাতে শ্রীরামপুর কুমিরজলা রোডে একটি সোনা গলানোর দোকানে বেশ কয়েকজন আয়কর হানা দেয়। সেখানে সোনা ও নগদ আড়াই লক্ষ টাকা লুঠ করে আয়কর অফিসাররা চম্পট দেয়। জানা যায়, দোকানেরকে তারা গাড়িতে তুলে নেয়। দিল্লি রোডে গিয়ে দোকানের মালিককে ছেড়ে আয়কর অফিসাররা পালিয়ে যায়। মালিকের সন্দেহ হতে পুলিশের দ্বারস্থ হয়। পুলিশ তদন্তে জানতে পারে, আয়কর অফিসাররা কোনও সোনা গলানোর দোকানে হানা দেয়নি। নকল আয়কর অফিসারদের সন্ধান পেতে জোর কদমে তদন্ত শুরু করে শ্রীরামপুরের পুলিশ। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে পুলিশ প্রথমে বুলেরো গাড়িটাকে শনাক্ত করে। বুধবার হাওড়ার গোলাবাড়ির থানা এলাকায় বোলেরো গাড়ি ও গাড়ির ড্রাইভারকে পুলিশকে আটক করে। পুলিশ ড্রাইভারকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। সেখান থেকেই অভিযুক্ত বাকিদের সন্ধান পায়।