নিজস্ব সংবাদদাতাঃ একরাতেই যেন মৃত্যু উপত্যকায় পরিণত হয়েছে বালেশ্বর। ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে অভিশপ্ত করমণ্ডলের বহু কামরা। বালেশ্বরে ভয়াবহ অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হলেন পিকনিক গার্ডেনের বাসিন্দা সায়ন্তনী ঘোষ। একেই বোধ হয় বলে পুনর্জন্ম। ছোট্ট মেয়েকে নিয়ে করমণ্ডল এক্সপ্রেসের A1 বগিতে থাকা মহিলা চোখের সামনে দেখলেন মৃত্যুর ভয়াবহতা। ১১ বছরের মেয়ের জন্মদিন পালন করে চেন্নাইয়ে স্বামীর কাছে ফিরছিলেন সায়ন্তনী ঘোষ। তখন সময়টা ছিল সন্ধ্যা । তাই বসেছিলেন সিটেই। হঠাৎ ভয়ঙ্কর শব্দ , সেই সঙ্গে প্রবল ধাক্কার অনুভূতি। এক মুহূর্তে সিট থেকে ছিটকে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই ফের ধাক্কা। সায়ন্তনীর কথায় 'বাইরে তখন দেখছি শুধু আগুনের ফুলকি, দেখলাম সামনে কামরার বাথরুম প্রবল ধাক্কায় ঢুকে এল আমাদের কামরায়। ভাগ্যিস আমাদের কামরাটা পুরো উল্টে যায়নি। কোনও ক্রমে মেয়েকে আঁকড়ে ধরলাম। বাইরে থেকে ভেসে আসছে প্রবল চিৎকার। কেউ এসে জানলা ধাক্কা দিচ্ছে। বুঝতে পারছিলাম না কীভাবে বের হব।'
মেয়েকে আঁকড়ে কীভাবে বেঁচে ফিরেছেন, তা ভাবলেই শিউড়ে উঠছেন সায়ন্তনী।