নিজস্ব সংবাদদাতা: আর জি কর কাণ্ডের পরে জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন চলছে। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কয়েকবার বৈঠকের পরেও তাদের সমস্ত দাবি পূরণ না হওয়ায় আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। তাদের অগ্রভাগে রয়েছেন কিঞ্জল নন্দ, অনিকেত মাহাতো, রুমেলিকা কুমার এবং দেবাশীষ হালদার। এবার তাদের নিয়ে একটি পোস্ট ভাইরাল হয়েছে।
সেই পোস্টে লেখা, গতকাল ছুটি ছিল কিন্তু অফিস গেছিলাম বিরিয়ানি খেতে।
বাইক টা নেই নি, টোটো করে গেছিলাম।
ফেরার সময় আবার টোটো করে ফিরেছি। এটা আর এমন কি কথা তাই না ? বিশ্বকর্মা পুজো তে বিরিয়ানি টান্টু এসব কমন ব্যাপার। তবে আমাদের অফিসে টান্টুর ব্যবস্থা ছিল না। আর থাকলেও খেতাম না, কারণ আমি খাই না।
কিন্তু টান্টু না খেলে কি হবে পুরো নেশা করিয়ে দিল পরের ঘটনা টা।
যে টোটো তে ফিরেছিলাম ঐ টোটো তে জনা পাঁচেক বছর সাত আট হবে এমন কটা বাচ্চা ছেলে মেয়ে ওদের মায়ের সাথে টিউশন নিয়ে ফিরছিলো।
পুরো টোটো জুড়ে ওদের কিচিরমিচি চলছিল।
আমি টোটো ড্রাইভারের পাশে বসে ছিলাম। এবার আমিও ভিরে গেলাম ওদের সাথে। অফিস থেকে বেশ কয়েক টা লজেন্স নিয়ে ফিরেছিলাম।
ওদের জিজ্ঞাসা করলাম এই এত চেঁচামেচি করছিস কেন রে তোরা ? লজেন্স খাবি ?
একজন বললো দাও দাও খাবো।
সবাই কে একটা করে লজেন্স দিয়ে জিজ্ঞাসা করলাম টিভি দেখিস ?
একজন উত্তর দিল হ্যাঁ দেখি। বাকিরাও হইহই করে বললো আমিও দেখি, আমিও দেখি।
বললাম কি খেলা দেখিস ফুটবল না ক্রিকেট ?
কেউ বললো ক্রিকেট, কেউ বললো ফুটবল।
জিজ্ঞাসা করলাম বড় হয়ে কার মত হবি ? সৌরভ এর মত না মেসির মত ?
উত্তর দিল...
না না ওসব হবো না।
একজন দেন অ্যান্ড দেয়ার উত্তর দিল আমি বড় হয়ে কিঞ্জল আঙ্কেল এর মত হবো। ওমনি আরেক জন বলে উঠল আমি দেবাশিস আঙ্কেল হবো। আর একজন বললো আমি আমি অনিকেত কাকু হবো।
আর ওদের বন্ধু মেয়েটি বললো আঙ্কেল আঙ্কেল আমার কথা শোনো। ওই তোরা চুপ কর তো। আঙ্কেল আমি রুমেলিকা দিদির মত হবো।
ওদের মায়েরা বললো আর বলবেন না দাদা সব স্লোগান মুখস্থ করে ফেলেছে।