নিজস্ব সংবাদদাতাঃ এবার কলকাতায় বিক্ষোভ দেখালেন জৈন সম্প্রদায়ের কিছু মানুষ। জানা গিয়েছে, আজ রবিবার আরিহা শাহকে (Ariha Shah) জার্মানি থেকে ভারতে ফিরিয়ে আনার দাবিতে কলকাতায় জার্মান কনস্যুলেটের সামনে বিক্ষোভ দেখান জৈন সম্প্রদায়ের লোকেরা। দুই বছর বয়সী আরিহা ২১ মাসেরও বেশি সময় ধরে জার্মানিতে ফস্টার কেয়ারে রয়েছেন।
ভারতে বাৎসল্য এবং মাতৃত্বের একটি আলাদা সংজ্ঞা রয়েছে, তবে বিশ্বের কিছু দেশে শিশু যত্নের বিভিন্ন নিয়ম রয়েছে। ভারতের আরিহা শাহ মাত্র সাত মাস বয়স থেকেই তার বাবা-মায়ের কাছ থেকে দূরে রয়েছেন। তবে জার্মান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, শিগগিরই আরিহা শাহকে হস্তান্তরের আশা রয়েছে।
আরিহাকে তার বাবা-মায়ের কাছে ফিরিয়ে আনতে দেশে একটি প্রচার পর্ব, বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। যার সঙ্গে সব রাজনৈতিক দলের নেতারা জড়িত। দিল্লিতে নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত ফিলিপ অ্যাকারম্যানকে একটি যৌথ চিঠি লিখেছেন ১৯টি রাজনৈতিক দলের ৫৯ জন সাংসদ। যেখানে আরিহা শাহকে যত দ্রুত সম্ভব তার বাবা-মায়ের কাছে হস্তান্তর করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
সম্প্রতি কংগ্রেস সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী ও শশী থারুর, বিজেপির হেমা মালিনী ও মানেকা গান্ধী, ডিএমকের কানিমোঝি, এনসিপির সুপ্রিয়া সুলে, তৃণমূল কংগ্রেসের মহুয়া মৈত্র, সমাজবাদী পার্টির রাম গোপাল যাদব, আরজেডির মনোজ ঝা, আম আদমি পার্টির সঞ্জয় সিং জার্মান সরকারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন। এছাড়াও সিপিএম, অকালি দল, বিএসপি, শিবসেনা, সিপিআই এবং ন্যাশনাল কনফারেন্সের নেতারাও এই প্রচারে যুক্ত রয়েছেন।
পুরো বিষয়টি কেন্দ্রীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নজরে রয়েছে এবং শিশুটিকে বাড়ি ফিরিয়ে আনার জন্য নিরন্তর প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী বলেছেন, বিষয়টি অত্যন্ত স্পর্শকাতর। এটি দুই দেশের মধ্যে একটি বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। আরিহা শাহকে তার বাবা-মায়ের কাছে হস্তান্তর করার জন্য সম্ভাব্য সমস্ত প্রচেষ্টা করা হচ্ছে।
পুরো বিষয়টি নিয়ে চারদিক থেকে হতাশা পাওয়ার পর আরিহার বাবা-মা এখন ভারত সরকারের কাছে সাহায্যের আবেদন করেছেন। ভবেশ ও ধারা আহমেদাবাদের বাসিন্দা। আরিহার বাবা-মা ভবেশ শাহ এবং ধারা শাহ ২০১৮ সালে বার্লিনে চলে আসেন। ২০২১ সালে জার্মানির রাজধানীতে জন্ম গ্রহণ করেন আরিহা। ধারা সংবাদমাধ্যমকে বলেছিলেন যে আরিহার দিদা নাতনীকে দেখতে বার্লিনে এসেছিলেন, দুর্ভাগ্যবশত শিশুটি তখন আহত হয়। আরিহার ডায়পারে রক্ত মেলে। পরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকেই একেবারে জীবন বদলে যায় ভবেশ ও ধারার।