মুকুন্দপুরের নার্সিংহোমে চিকিৎসকদের মারধর: রোগের মৃত্যুর পরেও বিল বাড়ানোর অভিযোগে ক্ষিপ্ত রোগীর পরিবার

মুকুন্দপুরের নার্সিংহোমে একটি বাইক দুর্ঘটনায় আহত যুবকের মৃত্যুর পর বিল বাড়ানোর অভিযোগে চিকিৎসকদের মারধরের অভিযোগ উঠেছে।

author-image
Debapriya Sarkar
New Update
Fight

নিজস্ব প্রতিবেদন : আরজি কর কাণ্ডে গোটা শহর তোলপাড় হয়ে ওঠার মাঝে মুকুন্দপুরের এক নার্সিংহোমের ডাক্তারদের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনার সূত্রপাত হয় যখন বরানগরের এক যুবক বাইক দুর্ঘটনায় আহত হন। যুবকটি প্রথমে সাগর দত্ত হাসপাতালে ভর্তি হন, পরে তাকে মুকুন্দপুরের নার্সিংহোমে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসার সময় তার মৃত্যু ঘটে।

Hospital

মৃত্যুর পর যুবকের পরিবার নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করতে শুরু করে। তারা অভিযোগ করে, রোগীর মৃত্যুর পরও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিল বাড়িয়েছে। এর ফলস্বরূপ, হাসপাতালের ডাক্তারদের মারধরের ঘটনা ঘটে বলে জানা যায়। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, তারা ডাক্তারদের ঘেরাও করেছিলেন এবং পরিস্থিতি সম্পর্কে প্রশ্ন করেছিলেন। তারা দাবি করেছেন, "কেউ মারধর করেনি। যদি আমরা মারধর করতাম, তাহলে হাসপাতালের ক্যামেরায় সেই সবকিছু ধরা পড়তো।" তারা আরও বলেন, "আমরা ডাক্তারদের ভগবান মনে করি। আমরা বিনা চিকিৎসায় রোগী মারা যাওয়ার অভিযোগ তুলেছি।"

junior doctors in dhamatala

এদিকে, জুনিয়র ডাক্তাররা নিরাপত্তার দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। সম্প্রতি আরজি করে হামলার ঘটনায় সাগর দত্ত হাসপাতাল ও এসএসকেএমেও হামলা হয়েছে। এখন আবার এক বেসরকারি নার্সিংহোমে হামলার অভিযোগ উঠেছে, যা পুরো চিকিৎসা ব্যবস্থাকে নতুন করে আলোচনায় এনেছে। এই ঘটনার পর, শহরে চিকিৎসকদের নিরাপত্তা ও রোগীদের সঠিক চিকিৎসার দাবিতে আরও বেশি আলোচনা হচ্ছে। চিকিৎসা সেবা এবং রোগীর অধিকার নিয়ে উদ্বেগ বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা সমাজে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে উঠেছে।