নিজস্ব সংবাদদাতা: আরজি কর কাণ্ডে উত্তাল রাজ্যের মানুষ। ৮ সেপ্টেম্বর রাত দখলের ডাক দেওয়া হয়েছিল জুনিয়র চিকিৎসকদের তরফে। সোমবার সেই রাত দখল অব্যাহত রয়েছে। রাজ্যের একাধিক জায়গায় বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। সোমবার রাতে যাদবপুরে বিক্ষোভ সমাবেশ হয়। স্লোগান দেওয়া হয়। অন্যদিকে, ধর্মতলায় রাত দখলের কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। সেখানে বিক্ষোভ, স্লোগান অব্যাহত রয়েছে।
#WATCH | Kolkata, West Bengal: People protest against the RG Kar Medical College and Hospital rape and murder case in Esplanade. pic.twitter.com/V704dB1HHU
— ANI (@ANI) September 9, 2024
প্রসঙ্গত, সোমবার সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর কাণ্ডের শুনানি হয়। সেখানে আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকদের আগামীকাল বিকাল পাঁচটার মধ্যে কাজে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। কাজে যোগ না দিলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে বলে জানানো হয়েছে। এরপরেই আরজি করে আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকরা আলোচনায় বসেন। বেশ কয়েক ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও সেই আলোচনা অব্যাহত রয়েছে।
অন্যদিকে, নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “সাতদিন আগে সিপি নিজে এসেছিলেন আমার কাছে পদত্যাগ করতে। কিন্তু সামনে পুজো। ল’ অ্যান্ড অর্ডারটা বড় বিষয়। যিনি দায়িত্বে থাকবেন, তাঁকে তো বিষয়টা জানতে হবে। পুজোর সময়। কিছুদিন ধৈর্য ধরলে কী হয়? আপনারা ঠিক করবেন, সবাইকে বদলাতে হবে? আপনি ১০টা দাবি দিতে পারেন। আমি ৫টা করতে পারি, ৫টা নাও করতে পারি।” যেখানে সিবিআই থেকে সাধারণ মানুষ পুলিশের ভূমিকা নিয়ে বার বার প্রশ্ন করেছে। সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতা পুলিশের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, নবান্নে সাংবাদিক প্রশ্ন করে পুলিশের প্রশংসা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, পুলিশের ভূমিকার সন্তুষ্ট। পুলিশের রক্ত ঝরেছে। কিন্তু কারও রক্ত ঝরতে দেয়নি। পাশাপাশি তিনি বলেন, সিপি সাত দিন আগে তাঁর কাছে পদত্যাগ করতে এসেছিলেন। তিনি সিপিকে পদত্যাগ করতে দেননি।
অন্যদিকে, নাগরিক সমাজ পুলিশের ভূমিকা নিয়ে একের পর এক প্রশ্ন তুলেছে। যার মধ্যে অন্যতম কেন অতি সক্রিয়তায় পুলিশ নির্যাতিতার দেহ দাহ করল। প্রশ্ন উঠেছে কেন দেহ দাহ করার আগেই পুলিশ নির্যাতিতার বাবা-মাকে টাকার প্রস্তাব দেয়। কেন অভিযোগ দায়ের করার আগেই ময়নাতদন্ত হয়। এছাড়া ১৪ তারিখ রাতে আরজি করে দুষ্কৃতীদের হামলায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল খোদ সুপ্রিম কোর্ট।