নিজস্ব প্রতিনিধি: পড়ুয়ামৃত্যুর পরও ফেরেনি হুঁশ। পাঁচিল টোপকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে দেদার প্রবেশ করেছে বহিরাগতরা। কীভাবে প্রবেশের লাইসেন্স পেল তারা? কেন ঢুকেছিল ভেতরে? উদ্দেশ্য কী?
এই উত্তর জানতে এএনএম নিউজ সঙ্গে সঙ্গে ছুটে যায় সেই বহিরাগতদের লক্ষ্য করে। আমাদের প্রতিনিধির তরফে প্রশ্ন করা হয় তাদের পরিচয় সম্পর্কে। উত্তরে খানিক আমতা আমতা করে কেউ কেউ। আবার কেউ বলে যে সে সেখানকারই ছাত্র। তবে এর পরেই সে কোন বর্ষের ছাত্র, কী নাম এবং কোন সেমিস্টার এই প্রশ্নগুলো করলেই সেখান থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এত বড় একটা ঘটনা ঘটে যাওয়ার পরেও কেন এতটা উদাসীন কর্তৃপক্ষ? ক্যাম্পাসের মধ্যে ক্যাম্পাসের বাইরের লোকজন কী করে প্রবেশ করতে পারে, থাকতে পারে এবং বাধাহীনভাবে ঘুরতে পারে যদি ভেতরে কোনও সাহায্যকারী না থাকে? উঠছে সেই প্রশ্নও। শুধু তাই নয়, এখানে আরো একটি বিষয় রয়েছে। বহিরাগতরা কে কী উদ্দেশ্যে ভিতরে প্রবেশ করছে সেটা কেউ জানে না। তাই অবশ্যই ঝুঁকিতে রয়েছে অন্যান্য পড়ুয়ারা। সব মিলিয়ে প্রশ্নের মুখে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুরক্ষা ব্যবস্থা।
ইতিমধ্যে কলকাতার অন্যতম ঐতিহ্যশালী ও প্রসিদ্ধ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষের এক ছাত্রের ‘অস্বাভাবিক মৃত্যু’কে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর। কেউ কেউ দেখছে রাজনৈতিক অভিসন্ধি আবার কেউ কেউ সামনে আনছে Ragging তত্ত্ব। বুধবার মাঝ রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘মেইন হোস্টেল’-এর তিনতলা থেকে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয় মাত্র তিন মাস আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে ভর্তি হওয়া নদিয়ার বগুলার ছাত্র স্বপ্নদীপ কুণ্ডুর। তার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে শুক্রবার খুনের মামলা রুজু করে পুলিশ। বাবা-মা এবং আত্মীয়রা অভিযোগ করেছেন যে তাকে হোস্টেলে চূড়ান্ত Ragging-এর শিকার হতে হয়েছিল। যার ফলে চরম মানসিক অস্বস্তিতে ছিল ওই ছাত্র। এমনকি বুধবার রাতেও ঘটনা ঘটার কিছুক্ষণ আগেই পড়ুয়া বাড়িতে ফোন করে জানায় তার খুব ভয় করছে। বাবা-মা এসে যেন দ্রুত তাকে নিয়ে যান। কিন্তু সেই রাতেই আর চেষ্টা করেও স্বপ্নদীপের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করতে পারেননি বাবা-মা কেউ।
প্রসঙ্গত, ভারতের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে Ragging নিয়ে কড়া বিধি আছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে ছাত্র বা ছাত্রীকে বহিষ্কার করার পাশাপাশি অন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও যাতে তিনি ভর্তি না হতে পারেন, সেই শাস্তিরও বিধান রয়েছে।