নিজস্ব সংবাদদাতাঃ পঞ্চায়েত ভোটের আবহে (Panchayat Election 2023) বড় সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। জানা গিয়েছে, ভোটকর্মীদের অভাবের কারণে, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য নির্বাচন কমিশন প্রথমবারের মতো রাজ্যের আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রগুলিতে মহিলা কর্মীদের মোতায়েনের অনুমোদন দিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে জারি করা এক নোটিশে জানিয়েছে, "পোলিং কর্মীদের অভাব ও প্রয়োজনীয়তা প্রসঙ্গে জানানো হচ্ছে যে রাজ্য নির্বাচন কমিশন নীতিগতভাবে ভোটকেন্দ্রগুলিতে মহিলা পোলিং কর্মীদের নিয়োগের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে।‘
এর আগে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য নির্বাচন কমিশন সুপ্রিম কোর্টকে জানিয়েছিল যে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে পর্যাপ্ত সুযোগ না দিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের বিচারিক ক্ষমতার অতিরিক্ত পদক্ষেপ।
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য নির্বাচন কমিশন সুপ্রিম কোর্টে দায়ের করা পিটিশনে বলেছে, "হলফনামার মাধ্যমে আবেদনকারীকে পর্যাপ্ত সুযোগ না দিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের জন্য পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে একটি নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল এবং এই ধরনের নির্দেশ হাইকোর্টের বিচারিক ক্ষমতার অতিক্রম।
আগামী ৮ জুলাই এক দফাতেই পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং ১১ জুলাই ভোট গণনা অনুষ্ঠিত হবে। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টি (BJP) এবং ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা দেখা যাবে বলে মনে করছে বিশিষ্ট মহল।
এদিকে আসন্ন এই পঞ্চায়েত ভোটকে ঘিরে বঙ্গ রাজনৈতিক মহল তপ্ত হয়ে উঠছে। বিভিন্ন ইস্যুকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক দলগুলি একে অপরকে কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি করছে। সেইসঙ্গে পঞ্চায়েত ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হতেই একাধিক জায়গা থেকে হিংসার খবর উঠে আসছে।
বিজেপির দাবি অনুযায়ী, এখনও অবধি এই প্রাক ভোটের বলি হয়েছেন ৯ জন মানুষ। যদিও এই বিষয়ে রাজ্য সরকার মুখে কুলুপ এঁটেছে। কার্যত বঙ্গ গেরুয়া শিবিরের এই দাবি মেনে নিতে নারাজ রাজ্যের ক্ষমতাসীন তৃণমূল দল।
বিজেপি নেতারা পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে ৮ জুলাই নির্বাচনের দিন নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বলেছেন। অন্যদিকে, তৃণমূল কংগ্রেসের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার জন্য বিজেপির বিরুদ্ধে 'নাটক' করার অভিযোগ তোলা হয়েছে। সেইসঙ্গে রাজভবনের বিরুদ্ধে যোগসাজশের অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল।
বিজেপি দাবি করেছে, ৮ জুলাইয়ের নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে ব্যাপক সহিংসতায় রাজ্যের বিভিন্ন অংশে কমপক্ষে ৯ জন নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।