আদিনা মসজিদ নিয়ে নয়া বিতর্ক! একী বলছেন বিজেপি নেতা

বিজেপি নেতা তরুণ জ্যোতি তিওয়ারি আদিনা মসজিদ নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন।

author-image
Tamalika Chakraborty
New Update
aaaaa


নিজস্ব সংবাদদাতা:  নতুন করে আদিনা মসজিদ নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। এই প্রসঙ্গে বাংলার বিজেপি নেতা তরুণ জ্যোতি তিওয়ারি বলেন, "মালদার আদিনা মসজিদ শুধু একটি স্থাপত্য নয়; এটি বাংলার ইতিহাসের এক জ্বলন্ত সাক্ষী। এটি স্পষ্ট করে দেখায়, কীভাবে মুসলমান শাসনের সময় হিন্দু মন্দির ধ্বংস করা হয়েছিল এবং তাদের ধ্বংসাবশেষ ব্যবহার করে মসজিদ তৈরি হয়েছিল। আদিনা মসজিদের স্থাপত্যে হিন্দু মন্দিরের স্তম্ভ, অলংকরণ ও মূর্তির চিহ্ন স্পষ্ট। এটি বাংলায় মুসলিম আগ্রাসনের এক নিদর্শন, যা ইসলামিক সাম্রাজ্য বিস্তারের সময় ঘটে।

অনেকেই গঙ্গা-যমুনা তেহজীব বা হিন্দু-মুসলিম সৌভ্রাতৃত্বের কথা বলেন। কিন্তু আদিনা মসজিদের মতো স্থাপত্য দেখে বোঝা যায়, এই সৌভ্রাতৃত্ব অনেক সময় শুধু তত্ত্বেই সীমাবদ্ধ থেকেছে। বাস্তবে, এই ধরনের ঘটনাগুলি সহাবস্থানের বদলে দখলদারিত্বের ইতিহাস তুলে ধরে।

পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তথ্য অনুযায়ী, আদিনা মসজিদ নির্মাণের জন্য ৮ম শতাব্দীর দামাস্কাস মসজিদের নকশা অনুসরণ করা হয়। তবে এর নির্মাণে ব্যবহৃত উপাদান স্পষ্টতই বাংলার পূর্ববর্তী হিন্দু স্থাপত্য থেকে নেওয়া। এটি একটি ঐতিহাসিক বাস্তবতা, যা বাংলার সংস্কৃতির ওপর বিদেশি প্রভাব ও দখলদারিত্বের পরিচয় বহন করে।

এই স্থানটি দেখতে গেলে প্রথমেই এর বিশালতা ও স্থাপত্যের সূক্ষ্মতা আপনাকে মুগ্ধ করবে। তবে ঘুরে দেখুন, আর ভাবুন—কীভাবে এক সময় বাংলার ঐতিহ্যবাহী হিন্দু মন্দির ধ্বংস করে এর জায়গায় নতুন সাম্রাজ্যের ছাপ বসানো হয়েছিল। এটি আমাদের অতীত সম্পর্কে গভীর চিন্তা করার সুযোগ দেয়।

অতএব, আদিনা মসজিদ শুধু ঐতিহাসিক সৌন্দর্যের জন্য নয়, বরং আমাদের সংস্কৃতির দুঃখজনক এক অধ্যায়ের সাক্ষী হিসেবেও সংরক্ষণ ও গবেষণার দাবি রাখে। এটি একবার দেখে আসুন—মসজিদ না মন্দির, তা না ভেবে বাংলার ইতিহাস ও স্থাপত্যের সাক্ষী হিসেবে।"

adina masjid