নিজস্ব সংবাদদাতা : সম্প্রতি কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে যে চিত্র উঠে এসেছে, তা স্বাস্থ্য ব্যবস্থার গুরুতর সমস্যাকে চিহ্নিত করেছে। এক ব্যক্তি ছাদ থেকে পড়ার পর রোগীকে প্রথমে আসানসোল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এখানে প্রাথমিক চিকিৎসা যথেষ্ট ছিল না, যা শিরদাঁড়ার আঘাতের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শিরদাঁড়ায় আঘাতের ফলে দ্রুত চিকিৎসার প্রয়োজন হয়, এবং প্রথম হাসপাতালে যথাযথ চিকিৎসা না হলে রোগীর অবস্থা আরও খারাপ হতে পারে। তাই তাকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজের স্থানান্তরিত করা হয়।
/anm-bengali/media/media_files/2024/10/25/XNBVT6Jdbgqqd80Ukwc3.jpg)
বর্ধমান মেডিকেল কলেজে স্থানান্তরের পর সেখানে রোগীর অপারেশনের প্রয়োজনে তাকে কলকাতার এস এস কে এম হাসপাতাল স্থানান্তরিত করে, বর্ধমান মেডিকেল কলেজের চিকিৎসকেরা। কিন্তু সেখানে ঘটে আরেক বিপত্তি। এসএসকেএম হাসপাতালে স্থানান্তরের পরেও রোগীকে ২৪ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়েছে, যা সেন্ট্রাল রেফারেল সিস্টেমের কার্যকারিতার অভাব নির্দেশ করে। রেফার করেও মেলেনি বেড। সারারাত হাসপাতালে বাইরে স্ট্রেচারে শুয়ে থাকতে হয় রোগীকে।
/anm-bengali/media/media_files/pylh5bnC6U7yG6AQptaF.jpg)
এরপর জুনিয়র ডাক্তারদের হস্তক্ষেপে ৩০ ঘণ্টা পর রোগী ভর্তি হয়। যদিও তাদের প্রচেষ্টা প্রশংসনীয়, তবে এটি পরিষ্কার যে হাসপাতালের অভ্যন্তরীণ ব্যবস্থাপনা ও যোগাযোগে ত্রুটি ছিল। হাসপাতালের মধ্যে সমন্বয় এবং দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা গড়ে তোলার প্রয়োজন।
/anm-bengali/media/post_banners/ZdxSCtMOPFNExIXWBYzF.jpg)
এটি শুধু একটি রোগীর সমস্যা নয়, বরং দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার একটি বড় চ্যালেঞ্জ। সরকার ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে এর সমাধানের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে অন্য রোগীদের একই সমস্যার মুখোমুখি হতে না হয়। রোগীর অধিকার, স্বাস্থ্যসেবার মান, এবং সংকটকালীন চিকিৎসার দক্ষতা নিশ্চিত করা জরুরি।