নিজস্ব সংবাদদাতা: আজ বঙ্গোপসাগরের (Bay of Bengal) বুক চিরে জন্ম নিতে চলেছে বিধ্বংসী সাইক্লোন মোচা (Mocha)। এরপরেই সেটা ২৫০ কিলোমিটার শক্তি নিয়ে ধেয়ে আসবে পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal) এবং ওড়িশা রাজ্যের (Odisha) দিকে। এই ঘূর্ণিঝড় আমফানের চেয়েও ভয়ঙ্কর এবং শক্তিশালী হতে পারে। তাই বারবার সতর্কতা জারি করছে নবান্ন (Nabanna)। লালবাজারে (Lalbazar) ইতিমধ্যে কন্ট্রোল রুম (Control Room) খোলা হয়েছে ঝড় মোকাবিলায়। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার (CM Mamata Banerjee) রাজ্যবাসীকে সতর্ক করেছেন। প্রশাসনকে দ্রুত সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জেলেদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করছে প্রশাসন। বাড়িতেই থাকুন সবাই।
সমুদ্র পৃষ্ঠে ঘূর্ণিঝড় কতটা শক্তি সঞ্চয় করছে এবং তখন বায়ু স্তরের অভিমুখ কোণ দিকে থাকবে, তার উপর ঘূর্ণিঝড়ের অভিমুখ ও শক্তি নির্ভর করছে। আজ ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হবে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে। ৭ তারিখ সেই ঘূর্ণাবর্ত দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ৮ তারিখ তা গভীর নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার পর ৯ তারিখ সেই গভীর নিম্নচাপ মধ্য বঙ্গোপসাগরের উপর ঘূর্ণিঝড়ের (Cyclone) রূপ নেবে। আগাম প্রস্তুতি শুরু করে গিয়েছে ওড়িশা সরকার (Odisha Govt)। উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেছেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক। ২০২০ সালের আমফান এখন পর্যন্ত সবথেকে বিধ্বংসী ছিল যা আঘাত হেনেছে পশ্চিমবঙ্গে। মোচা হলো ২০২৩ সালের প্রথম ঘূর্ণিঝড়। পূর্ব ভারত থেকে বাংলাদেশ ও মায়ানমার পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়তে পারে এই ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড়। এই সপ্তাহের শেষেই প্রভাব বিস্তার করবে সাইক্লোন মোচা।