নিজস্ব সংবাদদাতা: কসবায় বিদ্যালয় পরিদর্শকের দফতরে চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের উপর পুলিশের লাঠিচার্জ ও লাথি মারার ঘটনায় মুখ খুললেন রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। মঙ্গলবার নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলন করে তিনি বলেন, সরকারি সম্পত্তি নষ্টের চেষ্টা চালিয়েছেন আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীরা, আর তার জেরেই পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ বাধ্য হয়ে পদক্ষেপ করেছে।
মুখ্যসচিবের দাবি, “গত ৭ এপ্রিল মুখ্যমন্ত্রী নিজে ঘোষণা করেছেন যে যোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের পাশে থাকবে সরকার। তার পরেও কিছু জায়গায় প্ররোচনায় এই অবাঞ্ছিত ঘটনা ঘটেছে, যা কাম্য নয়। আমরা চাই না ভবিষ্যতে এরকম আর কোনও ঘটনা ঘটুক।”
তিনি আরও জানান, বহু চাকরিপ্রার্থী ইতিমধ্যেই স্কুলে পড়ানো শুরু করেছেন এবং এই উদ্যোগ সরকারের তরফে প্রশংসাযোগ্য বলেই মনে করা হচ্ছে।
আইনি পদক্ষেপের কথা জানিয়ে মনোজ পন্থ বলেন, “মধ্যশিক্ষা পর্ষদের মাধ্যমে আমরা সুপ্রিম কোর্টে রায় সংশোধনের আর্জি জানিয়ে আবেদন করেছি। পাশাপাশি রায় পুনর্বিবেচনার জন্যও প্রস্তুতি চলছে। রাজ্য সরকার তাদের পাশে থেকে আইনত সব রকম সহায়তা দেবে।”
/anm-bengali/media/media_files/2025/04/09/AeufOTD3vH8iD3mH37f6.jpg)
চাকরিপ্রার্থীদের উদ্দেশে তাঁর আবেদন, “আপনারা শান্তি ও শৃঙ্খলা বজায় রেখে কাজ চালিয়ে যান। এমন ঘটনা যেন আর না ঘটে।”
তবে এদিনের বক্তব্যে কসবার ঘটনার দায় স্পষ্টভাবে আন্দোলনকারীদের দিকেই ঠেলে দিয়েছেন মুখ্যসচিব। তাঁর কথায়, “বেশ কিছু জায়গায় সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুরের চেষ্টা হয়েছে। এক সিনিয়র পুলিশ আধিকারিক গুরুতরভাবে জখম হয়েছেন। পুলিশের তরফে বারবার অনুরোধ সত্ত্বেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছিল। তাই আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে বাধ্য হয়েই পদক্ষেপ করতে হয়েছে।”
সরকারের এই অবস্থান ঘিরে নতুন করে রাজনৈতিক বিতর্কও শুরু হতে পারে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। আন্দোলনকারীদের দাবি এবং পুলিশের ভূমিকা— উভয় দিকেই নজর রাখছে গোটা রাজ্য।