নিজস্ব সংবাদদাতাঃ কলকাতার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় তৃণমূল সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা অপরাজিতা বিল নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে দাঁড়ালেন। তিনি এই বিষয়ে বলেছেন, " আমি চিকিৎসকদের দাবীকে সমর্থন করেছি ৷ বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আনা বিল, অপরাজিতা নারী ও শিশু বিল একটি ঐতিহাসিক বিল ৷ এই বিষয়ে কোনও মুখ্যমন্ত্রীকে দোষ দেওয়া ঠিক হবে না। এটাকে নিয়ে রাজনীতি করা উচিত নয়। "
#WATCH | On the rape-murder incident at Kolkata's RG Kar Medical College and Hospital, TMC MP Shatrughan Sinha says, "I have supported the demands of the doctors. The bill (Aparajita Woman and Child Bill) brought by CM Mamata Banerjee is historic. It would not be fair to blame… pic.twitter.com/ixA9en93kA
— ANI (@ANI) September 8, 2024
এ ক্ষেত্রে উল্লেখ্য যে, দেশ জুড়ে আজ আরজি করে তরুণী ডাক্তারকে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। এই নক্কারজনক ঘটনার প্রতিবাদে সাধারণ মানুষ থেকে নেতামন্ত্রী সকলেই ধিক্কার জানিয়েছেন। আরজি করের ঘটনায় এই মুহূর্তে সিবিআইয়ের হেফাজতে আছেন হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। আরজি কর কাণ্ডের দৌলতে এবার সামনে এসেছে হাসপাতালের মধ্যে ঘটে চলা নানা দুর্নীতির তথ্য। বেআইনি ওষুধ বিক্রি থেকে শুরু করে মর্গে শবদেহের বেআইনি লেনদেনসহ একাধিক আর্থিক দুর্নীতির তথ্য।
এ ক্ষেত্রে আরও উল্লেখ্য যে, রাজ্য বিধানসভায় কয়েকদিন আগেই পাশ হয়েছে ধর্ষণ বিরোধী বিল। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের কাছেও এই বিল পাঠানো হয়েছে। প্রসঙ্গত, এই বিলে বলা হয়েছে যে, ধর্ষণের জন্য সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ৷ সেক্ষেত্রে এই শাস্তি আমৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। তবে ধর্ষণ করে খুনের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড, অর্থাৎ ফাঁসি ৷ তবে গণধর্ষণের ক্ষেত্রে অপরাধীদের সবচেয়ে কম সাজা হতে পারে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। নাবালিকা অর্থাৎ অনূর্ধ্ব ১৬ বছর বয়সিকে ধর্ষণের ক্ষেত্রে সুপারিস রয়েছে সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে আজীবন কারাদণ্ড ৷ এছাড়াও, ন্যূনতম ২০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও জরিমানারও বিধান থাকছে এই বিলে ৷ ১২ বছরের কম কোনও শিশুর সঙ্গে ধর্ষণের ঘটনা ঘটলে, অভিযুক্ত অপরাধীর সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড অর্থাৎ ফাঁসির সংস্থান রয়েছে বিলের খসড়ায় ৷ এছাড়াও, জানা গিয়েছে যে, নির্যাতিতার ছবি, নাম, ঠিকানা, বাবা-মা'র ছবি, পরিচয় ইত্যাদি প্রকাশের ক্ষেত্রে ৩ থেকে ৫ বছরের কারাদণ্ড এবং জরিমানা দুই-ই হতে পারে ৷ এই বিলকে স্বাগত জানিয়েছে রাজ্যের সব রাজনৈতিক দলগুলিই।
এ ক্ষেত্রে আরও বলা বাহুল্য যে, আগামীকাল ৯ সেপ্টেম্বর, সোমবার সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলার শুনানি রয়েছে।