নিজস্ব সংবাদদাতা: কিছুদিন ধরে নিখোঁজের অভিযোগ আসছিল। পরিবার দ্বারস্থ হয়েছিল পুলিশের, কিনা সন্তানের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছেনা। অভিযোগ পেতেই তদন্ত শুরু করে পুলিশ। সেই তদন্ত প্রক্রিয়া চলতে চলতে পুলিশ পৌঁছায় নিউটাউনের তারুলিয়াতে। সেখানেই একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন চিকিৎসক পড়ুয়া সাজিদ হোসেন। তাঁর তথ্য সন্ধান করতে গিয়েই উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
জানা যায় নিট-এর প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন ওই ছাত্র। কিন্তু হঠাৎই চারদিন ধরে নিখোঁজ হয়ে যায় সে। এরপর পরিবারের কাছে মুখে সেলোটেপ বাঁধা অবস্থায় সাজিদের ছবি পাঠিয়ে ৩০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। আবার সেই ছবি ডিলিটও করে দেওয়া হয়। পুলিশের কাছে সমস্ত বিষয়টা জানায় সাজিদের পরিবার।
তদন্তে নেমে এক চায়ের দোকানের মালিক সহ ৪ জনকে আটক করে পুলিশ। চায়ের দোকানের মালিকের কথাতে অসঙ্গতি মেলায় পুলিশের সন্দেহ হয়। আর তার ঘর তল্লাশি চালাতেই রহস্যের থেকে পর্দা উঠে যায়। বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় এক সুটকেস। আর সেই সুটকেসেই মেলে হাত-পা-মুখ বাঁধা অবস্থায় সাজিদের দেহ। তাঁকে খুন করে সেখানেই ভরে রেখেছিল অভিযুক্তরা। এই ঘটনায় ৪ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কেন তাঁকে খুন করা হল তার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।