নিজস্ব সংবাদদাতা: শিরদাঁড়া নিয়ে বিশেষ পোস্ট বলাগড়ের তৃণমূল বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারীর।
তৃণমূল বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী লেখেন, আমার শিরদাঁড়া (বিক্রি)নেই !
আজকের সময়ে একটি শব্দ ব্যাপকভাবে প্রচলিত হয়েছে- সেটা হচ্ছে 'শিরদাঁড়া' ! খুবই দামি ও মহান শব্দ বলে বিবেচিত হচ্ছে এই শিরদাঁড়া শব্দটা।
এখন কথা হচ্ছে কার শিরদাঁড়া আছে, আর কার নেই , এটার বিচার কে করবে? মাপকাঠি টা কি?
কেউ যদি নিজের বুক ঠুকে নিজেই বলতে থাকে আমার শিরদাঁড়া আছে , আমার শিরদাঁড়া বিক্রি নেই , তাহলে সেটা ঠিক সেই রকমই অবাস্তব শোনায়- যখন কেউ বলে "আমি বাঘের বাচ্চা" ।
তিনি নিজেকে বাঘের বাচ্চা বলে গর্বিত হতেই পারেন কিন্তু তার মাতাদেবী এটা শুনলে খুবই লজ্জায় পড়ে যাবেন।
সমস্যা হচ্ছে এটা- আপনি যদি ডান দিকে থাকেন, বাম দিকের লোকেরা বলবে- আপনার শিরদাঁড়া নেই ! আপনি যদি বাম দিকে থাকেন, ডান দিকের লোকেরা বলবে আপনার শিরদাঁড়া নেই!
আর আপনি যদি ডানদিক বাঁদিকের না বেঁকে সোজা মাঝ বরাবর চলেন- দু দিকের লোকেরা আঙ্গুল তুলে বলবে - আপনার শিরদাঁড়া নেই!
স্বীকার করছি আমি ঠিক মাঝখান দিয়ে হেটে যাওয়া মানুষ ! তাই ডান দিকেও আঙ্গুল তুলতে ভীত নই। বাম দিকেও আঙ্গুল তুলতে ভয় পাইনা । যে কারণে দু দিকের লোকেরাই আবার আমার দিকে আঙ্গুল তোলে আর বলে আমার নাকি শিরদাঁড়া নেই !
সত্যি বলতে কি সারা জীবনে একবারও অনুসন্ধান করে দেখার সুযোগ হয়নি আমার শিরদাঁড়া আছে কি নেই।
জীবনের একেবারে শেষ পর্বে এসে আর খোঁজার ইচ্ছেও নেই। আর তো মাত্র কয়েকদিন, আমি মরে যাবার পর ভবিষ্যতের মানুষ খুঁজে দেখবে আমার শিরদাঁড়া ছিল কি ছিল না !