পরিবারের সকলেই জানতেন মনোজের অবৈধ ব্যবসার কথা! জাল পাসপোর্ট চক্রের চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে

পাসপোর্ট জালিয়াতির চক্রের অন্যতম মূল মাথা মনোজ গুপ্তাকে ইতিমধ্যে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তাঁকে গ্রেফতার করতেই একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে।

author-image
Tamalika Chakraborty
New Update
d

নিজস্ব সংবাদদাতা: পাসপোর্ট জালিয়াতির চক্রের  অন্যতম মূল মাথা মনোজ গুপ্তাকে ইতিমধ্যে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।  তাঁকে গ্রেফতার করতেই একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছেন পরিবারের সদস্যরা। তাঁরা জানিয়েছেন, মনোজের অবৈধ কাজের বিষয়ে আঁচ করতেন। কিন্তু কী করতেন সেটা জানতেন না। তার পরিবারের লোকজন সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, বাড়িতে কিছু করত না। সব হত বাইরে। বন্ধুবান্ধবরা থাকত।  তার পরিবারের দাবি, ক্লাস এইট পর্যন্ত পড়াশোনা করেছিল মনোজ। এমনকী অভিযোগ, সে নাকি বাংলাদেশিদের ভুয়ো পরিচয়পত্র বানিয়ে এই ইউরোপে যাওয়ার ভিসাও তৈরি করে দিত। পরিবারের সদস্যরা বার বার তাঁকে ভুল পথে যেতে বারণ করেছিলেন, অবৈধ কাজ বন্ধ করার কথা বলেছিল। কিন্তু মনোজ সেই কথায় কর্ণপাত করেনি।

বেহালার শখের বাজার এলাকায় মনোজ গুপ্তার ট্রাভেল এজেন্সির একটা অফিস ছিল। সেই অফিসের আড়ালেই জাল পাসপোর্ট চক্র চালাতেন মনোজ গুপ্তা বলে অভিযোগ উঠেছে। শনিবার রাতে তাকে উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটা থানা এলাকার চাঁদপাড়া থেকে গ্রেফতার করেন কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দারা। পাসপোর্ট জালিয়াতি কাণ্ডের অন্যতম মাথা মনোজ। এমনটাই মনে করা হচ্ছে। ছেলে যে বেআইনি কারবারের সঙ্গে যুক্ত তা আশপাশ থেকে শুনেছিলেন মা। তবে তিনি ছেলেকে বাড়িতে কোনওদিনই এই কাজ করতে দেননি বলে জানিয়েছেন তিনি। 

জানা গিয়েছে, বাংলাদেশিদের প্যান কার্ড, রেশন কার্ড টাকার বিনিময়ে করে দিত মনোজ গুপ্তা। তবে মনোজ গুপ্তা একা করতেন নাকি পিছনে বড় চক্র রয়েছে পুলিশ এখন তা খতিয়ে দেখছে। মনোজকে গ্রেপ্তারের সময় প্রথম পুলিশ তার বেহালার শীলপাড়ার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিল। কিন্তু সেখানে তাঁকে পাওয়া যায়নি। তবে পরে উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটা এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।