নিজস্ব সংবাদদাতাঃ আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ধর্ষণ-খুন মামলায় সুপ্রিম কোর্টে শুনানির বিষয়ে, পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ বলেছেন, " গতকাল অর্থাৎ ৫ সেপ্টেম্বর শুনানি হওয়ার কথা ছিল, কেন দেরি করা হচ্ছে ? গোটা দেশের চোখ এই দিকে তাকিয়ে রয়েছে। এটি একটি বড় ঘটনা। এই ঘটনাটিকে আদালত বা সিবিআইয়ের বিশেষ গুরুত্ব সহকারে নেওয়া উচিত। তবে নির্যাতিতার পরিবারের আদালতের উপর আস্থা আছে। তারা আশাবাদী যে তারা বিচার পাবে।
তিনি আরও বলেন, "এই ঘটনা যারা ঘটিয়েছে তারা সংখ্যায় বেশ কয়েকজন আছে। তারা দীর্ঘদিন ধরে যে অনিয়ম ঘটছিল, তার সঙ্গে জড়িত ছিল। এখন এদের একটা গোটা গ্যাং আছে। এটাকে ফাঁস করা উচিত। "
মৃতা ডাক্তারের পরিবারের দাবীর বিষয়ে নীরবতার জন্য অর্থের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এই বিষয়ে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ সরব হয়েছেন। তিনি বলেছেন, " এটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্টাইল। অপরাধ ঘটলে মানুষকে চুপ করিয়ে দেওয়া। এটি একটি সরকারী নীতি হয়ে উঠেছে। তারা নির্যাতিতার বাবা-মাকে চুপ করাতে চেয়েছিল। এটা ভালো যে তার পরিবার এটা মেনে নেয়নি। পুরো সমাজ তাদের সাথে আছে, টাকা নয়। "
এ ক্ষেত্রে উল্লেখ্য যে, জুনিয়র ডাক্তাররা তরুণীকে হত্যার ঘটনায় প্রতিবাদ জানাতে সারা শহরের লাইট অফ করে মোমবাতি জ্বালায়। এই নক্কারজনক ঘটনার প্রতিবাদে সাধারণ মানুষ থেকে নেতামন্ত্রী সকলেই ধিক্কার জানিয়েছেন।
এ ক্ষেত্রে উল্লেখ্য যে, দেশ জুড়ে আজ আরজি করে তরুণী ডাক্তারকে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। বলা বাহুল্য যে, এই ঘটনা সারা দেশ তো বটেই বিদেশে বসবাসকারী প্রবাসী ভারতীয়দের মনেও ক্ষোভের আগুন জ্বেলে দিয়েছে। এ ক্ষেত্রে আরও উল্লেখ্য যে, রাজ্য বিধানসভায় কয়েকদিন আগেই পেশ হয়েছে ধর্ষণ বিরোধী বিল। এই বিলকে স্বাগত জানিয়েছে রাজ্যের সব রাজনৈতিক দলগুলিই। এবার অপেক্ষা শুধুই যে, কবে আরজি করে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার কবে দোষীদের প্রকৃত শাস্তি হয় তা দেখার।
আরজি করের ঘটনায় এই মুহূর্তে সিবিআইয়ের হেফাজতে আছেন হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। তার সাথেই সিবিআইয়ের হেফাজতে আছেন আরও তিনজন। আরজি কর কাণ্ডের দৌলতে এবার সামনে এসেছে হাসপাতালের মধ্যে ঘটে চলা নানা দুর্নীতির তথ্য। বেআইনি ওষুধ বিক্রি থেকে শুরু করে মর্গে শবদেহের বেআইনি লেনদেনসহ একাধিক আর্থিক দুর্নীতির তথ্য।