নিজস্ব প্রতিবেদন : মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রবিবার আলিপুরে পুজোর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাজ্যের এবং শহরের পুলিশকে প্রশংসা করে বিশেষ ঘোষণা করেছেন। তিনি বলেন, "গ্রেট স্টার তো আপনারা, যাঁরা ঘরে বসে কাজ করেন। আপনাদের বলব, দায়িত্বটা নিন।" মমতা আরও ঘোষণা করেন, "বাংলা পুলিশ এবং কলকাতা পুলিশ-সহ যেসব মহিলা অপরাধীদের শনাক্ত করে এবং ক্রাইম রিপোর্ট করার ক্ষেত্রে এগিয়ে আসবেন, তাঁদের জন্য ১০০টি পুরস্কার থাকবে। প্রয়োজন হলে চাকরির সুযোগও দেওয়া হবে।" এই ঘোষণা মহিলাদের সুরক্ষা এবং সমাজে অপরাধ প্রতিরোধের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী সাইবার ক্রাইম নিয়ে সচেতনতা বাড়ানোর বার্তা দিয়েছেন এবং পুলিশ কর্তাদের কার্যক্রমের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
মমতার এই উদ্যোগের মাধ্যমে মহিলাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং সমাজের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে একটি নতুন দিক উন্মোচিত হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাইবার ক্রাইম নিয়ে সচেতনতা বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, "যাঁরা রাঁধে, তাঁরা চুলও বাঁধে। সব কিছু সবার দ্বারা হয় না। এই কাজটা মহিলাদের দ্বারা সম্ভব।" তিনি উল্লেখ করেন যে সমাজের উন্নয়নে মহিলাদের ভূমিকা অপরিসীম। মমতা বলেন, "ওয়েলফেয়ার কমিটির কাছে আমি গ্রেটফুল। তারা অনেক কাজ করছে। অনেক কথা বলতে আসে।" তবে, তিনি উল্লেখ করেন যে কিছু লোক ফেক ওয়েলফেয়ার কমিটির নামে সমাজে বদনাম ছড়াচ্ছে। এই বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি মহিলাদের উদ্যোগ এবং সচেতনতার গুরুত্বকে তুলে ধরেছেন, যা সাইবার অপরাধের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুজোর মুখে মহিলাদের জন্য বড় পুরস্কারের ঘোষণা করেছেন, যা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। তিনি উল্লেখ করেন, "আমি পুলিশকে বলছি যে, যাঁরা অপরাধীদের ধরতে সক্ষম হবেন, তাঁদের জন্য ১০০টি পুরস্কার থাকবে। প্রয়োজনে চাকরিও দেওয়া হবে।" এছাড়াও, পুলিশি কার্যক্রমের প্রতি তার অসন্তোষ প্রকাশ করে মমতা বলেন, "রাজা চলে বাজার, কুত্তা ভোকে হাজার।" এর মাধ্যমে তিনি পুলিশে কার্যকরতার অভাবের দিকে ইঙ্গিত করেন, যা সমাজের সুরক্ষা এবং সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। মমতার এই পদক্ষেপ এবং মন্তব্য মহিলাদের ক্ষমতায়নের পাশাপাশি পুলিশি কাজের গুণগত মান বাড়ানোর প্রতি গুরুত্বারোপ করে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কুলতলি-জয়নগর কাণ্ডের প্রেক্ষিতে রবিবার বলেন, “ক্রাইম ইস ক্রাইম, কোনও ধর্ম বা জাতি নেই।” তিনি পুলিশকে নির্দেশ দেন, কুলতলির ঘটনায় তিন মাসের মধ্যে তদন্ত সম্পন্ন করে দোষীদের ফাঁসির সাজা দেওয়ার ব্যবস্থা করতে। এছাড়া, টিভি সিরিয়ালে অপরাধের চিত্রায়ণ নিয়েও তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। মমতা বলেন, "যত সিরিয়াল দেখবেন, ক্রাইম দেখায়। কীসের জন্য ক্রাইম দেখানো হবে? আমি বলি করবেন না।" এর মাধ্যমে তিনি সমাজে অপরাধের পরিবেশন ও এর প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, যা নৈতিকতার প্রশ্ন তুলছে।