DA: ২০২৪-এর জানুয়ারি মাস...এল বড় আপডেট!

মহার্ঘ্য ভাতা নিয়ে কি এবার সুরাহা হতে পারে কিছু? এবার এল বড় আপডেট।

author-image
Anusmita Bhattacharya
New Update
da protestss.jpg

ফাইল ছবি

নিজস্ব সংবাদাতা: রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের একাংশ কেন্দ্র সরকারের মতো সমহারে মহার্ঘ্য ভাতা প্রদানের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে বাংলায় আন্দোলন চালিয়ে আসছেন। এই নিয়ে সুপ্রিম কোর্টেও মামলা চলছে। কিন্তু সামনেই লোকসভা নির্বাচন থাকায় এই ইস্যুতে বাজার গরম করতে মহার্ঘ্য ভাতা নিয়ে আবার আন্দোলনে সুর চড়াচ্ছে বিভিন্ন রাজ্য সরকারি সংগঠনগুলি। এই অবস্থায় পাল্টা কোমর বাঁধবে এবার রাজ্য সরকার।

ঠিক করা হয়েছে যে ভাতা নিয়ে রাজ্য সরকারের 'অবস্থান' স্পষ্ট করতে রাজ্যের শাসকদলের সরকারি কর্মচারী সংগঠনের সভায় হাজির হয়ে এর সোজা জবাব দিতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই। সব পরিকল্পনামাফিক চললে জানুয়ারি মাসে নেতাজি ইন্ডোরে শাসকদল সমর্থিত পশ্চিমবঙ্গ কর্মচারী ফেডারেশনের একটি সভায় বক্তা হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হবে মুখ্যমন্ত্রীকে। এমনটা হলে সেই মঞ্চ থেকেই তিনি ভাতা নিয়ে রাজ্য সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করে দেবেন।

DA নিয়ে রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের একাংশ যারা আন্দোলন করছেন তাঁরা ধারনা করছেন যে ফেব্রুয়ারি মাসে সুপ্রিম কোর্টে DA মামলার শুনানিতে 'ইতিবাচক' কোনও রায় পেতে পারেন। তাই সুপ্রিম কোর্টের রায় ঘোষণার আগেই রাজ্য সরকার তাদের অবস্থান স্পষ্ট করে দিতে পারে বলে মনে করছে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের একাংশ। সে ক্ষেত্রে জানুয়ারি মাসের পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল কর্মচারী ফেডারেশনের সভাকে ঘোষণাস্থল হিসাবে বেছে নেবেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। ইতিমধ্যে সরকারি কর্মচারীদের সংগঠন সংগ্রামী যৌথমঞ্চ মহার্ঘ্য ভাতার দাবিতে ডিসেম্বর এবং জানুয়ারি মাসজুড়ে একগুচ্ছ কর্মসূচির প্ল্যান করেছে। শহিদ মিনারে কর্মীদের অবস্থান চলার পাশাপাশি চলতি মাসের ১৯ তারিখ থেকে তাঁরা রাজ্য সরকারের সদর দফতর নবান্নের সমানে ধর্না কর্মসূচি করতে পারেন। সেই কর্মসূচি চলবে ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত।

ডিএ-র দাবিতেই জানুয়ারি মাসের দ্বিতীয় বা তৃতীয় সপ্তাহে কলকাতায় মহামিছিল করা হতে পারে। সেই মিছিলে যোগ দিতে আবার আহ্বান জানানো হয়েছে বিভিন্ন ক্ষেত্রে চাকরিপ্রার্থী ও চাকরিজীবী মঞ্চের নেতৃত্বদেরকে। ওই দিন হাওড়া, শিয়ালদহ এবং হাজরা থেকে তিনটি মিছিল এসে মিলিত হবে শহিদ মিনারে। সেখানে আয়োজিত হবে এক প্রতিবাদ সভা। জানুয়ারি মাসের শেষে ধর্মঘট কর্মসূচির আয়োজন করা হতে পারে। তিন দিন অর্থাত্‍ ৭২ ঘণ্টা ধরে ওই কর্মসূচি চলতে পারে বলে জানিয়েছেন মঞ্চের নেতারা। তাঁরা ঘোষণা করেছেন যে ওই তিন দিন সরকারি অফিস-স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্মঘট কর্মসূচি পালন করতে চলেছেন সরকারি কর্মচারীরা। আবার বামপন্থী সরকারি শিক্ষকদের সংগঠন বঙ্গীয় 'শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মচারী সমিতি' ৪০ শতাংশ ভাতার দাবিতে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার আবেদন করেছে নবান্নে। এই অবস্থায় শাসকদলের কর্মচারী ইউনিয়ন পাল্টা সভা করে বিরোধী সংগঠনগুলিকে 'জবাব' দিতে প্ল্যান করছে।