নিজস্ব সংবাদদাতা: দক্ষিণ পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে তৈরি হয়েছে ঘূর্ণাবর্ত৷ এটি সমুদ্রতল থেকে ৩.৬ কিমি পর্যন্ত রয়েছে৷ আগামী ৪৮ ঘণ্টায় সেটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে৷ এরপর আবার সেখান থেকে আগামী ৪৮ ঘণ্টায় সেটি পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে থাকবে৷ একটি সক্রিয় অক্ষরেখাও রয়েছে দক্ষিণ পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে যেটি পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত আছে৷ এটি মধ্য ট্রপোস্ফিয়ার স্তর পর্যন্ত রয়েছে৷
একদিকে অতি গভীর নিম্নচাপ, অন্যদিকে মৌসুমী অক্ষরেখা সক্রিয় আছে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে। উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টি আর দক্ষিণবঙ্গে প্রবল বৃষ্টি হতে পারে। অতি গভীর নিম্নচাপ গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে রয়েছে। বিকেলে কলকাতা অতিক্রম করে পশ্চিমের জেলাগুলির দিকে যাবে ঝাড়খণ্ডের দিকে। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় এটি ঝাড়খণ্ড ও উত্তর ছত্তিশগড় এলাকায় পৌঁছে শক্তি হারিয়ে গভীর নিম্নচাপ হিসেবে অবস্থান করবে।
নিম্নচাপের জেরে উত্তর বঙ্গোপসাগর উত্তাল থাকায় ৭০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় দমকা ঝোড়ো বাতাস বইবে। রবিবার পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে মানা করা হয়েছে আবহাওয়া দফতরের তরফ থেকে। রবিবার সকাল পর্যন্ত কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রামে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার, সর্বোচ্চ ৫০ কিলোমিটার গতিবেগে দমকা ঝোড়ো বাতাস বইতে থাকবে। শীত শীত ভাব অনুভূত হলেও কড়া শীতের আমেজ এখনই পাবেন না। এরপর উত্তুরে হাওয়া বইবে ১৫ নভেম্বর থেকে। কমে যাবে সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। শীতের আমেজ শুরু হতে পারে বাংলাজুড়ে। আপাতত তাপমাত্রা পরিবর্তন হবে না বলেই জানা গেছে। বাতাসে জলীয় বাষ্প থাকায় সকালের দিকে কুয়াশা বা ধোঁয়াশা দেখা যাবে।