নিজস্ব সংবাদদাতা: ডানার আশঙ্কায় ওড়িশা ও বাংলার উপকূলের মানুষ কার্যত ভয়ে কাঁটা হয়ে ছিল। ভাবা হয়েছিল, আমফান, ইয়াসের মতো ডানা বাংলায় মারাত্মক প্রভাব ফেলবে। আবহাওয়া দফতর বা মৌসম ভবনের তরফের ঝড়ের নির্দিষ্ট একটি গতিবেগের কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে বাংলাতে ডানার প্রভাবে বৃষ্টি ছাডা কিছুই হয়নি। শুধু তাই নয়, আবহাওয়া দফতরের তরফে ল্যান্ডফলের সময় যে গতিবেগের কথা বলা হয়েছিল, বাস্তবে ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ ছিল অনেকটা কম। এই বিষয়ে কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের প্রাক্তন ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল জি সি দেবনাথ বলেন,আমফান বা আয়লা অনেক বেশি শক্তিশালী ছিল। সমুদ্রের মধ্যে যখন এই ঘূর্ণিঝড় ছিল, তখন সুপার সাইক্লোন ক্যাটেগরিতে ছিল। ১৫০ থেকে ১৬০ কিলোমিটার গতিবেগে প্রবেশ করেছিল। কিন্তু, ডানা তার থেকে নিম্ন ক্য়াটেগরির ঘূর্ণিঝড়। এর গতিবেগ ১০০ থেকে ১১০ ছিল। এছাড়া ল্যান্ডফল বাংলা নয় ওড়িশায় ছিল। তাই ক্ষয়ক্ষতি বাংলায় অনেক কম হয়েছে। কিন্তু দেখা গিয়েছে, ওড়িশাতেও সেইভাবে কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। এই প্রসঙ্গে বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছেন, এর নেপথ্যে রয়েছে ম্যানগ্রোভ অরন্য। যেখানে ল্যান্ডফল হয়েছিল, সেটি আসলে ম্যানগ্রোভ অরণ্য। সেখানে কোনও জনবসতি ছিল না। ম্যানগ্রোভ অরণ্যের জন্য এই ঝড়ের প্রভাবে সেইভাবে কোনও ক্ষতি হয়নি।