নিজস্ব সংবাদদাতা: সিপিএম নেতা শতরূপ ঘোষের পুজোর শপিং- এর ছবি ভাইরাল হয়েছিল। তাতে শাসকদলের তরফ থেকে 'ট্রোল' করা হচ্ছে বাম নেতাকে। তৃণমূল কংগ্রেসের কুণাল ঘোষকেও চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করেন শতরূপ ঘোষ। এবার এর জবাব দিলেন তৃণমূল নেতা।
সুকুমার রায়ের পাগলা দাশু দারুণ সিরিজের 'নতুন পন্ডিত' টাইপের কেস।
আমি আমোদে হেসে কুটিপাটি।
রবিবার কোনো একটি পেজে একজনের শপিং মলে কেনাকাটার ছবি পোস্ট করে। আমি দেখিনি, জানতাম না। পরে শুনেছি সেটি অনেকে শেয়ার করেছে। নির্ভীক উত্তরের অনিন্দ্য পোস্ট করে। তারপর বিশ্ব বাংলা সংবাদও করে। তাদের সম্পাদক অভিজিৎ বিষয়টি আমাকে জানায়।
ও বাবা!!! যেহেতু এক কচির দ্বিচারিতা ফাঁস, সে তো জ্বলে পুড়ে শেষ। এখন শুনছি আমি নাকি ফটোগ্রাফার পাঠিয়ে ছবি তুলিয়েছি। তারপর সেসব কী গাল, কী গাল!!! আর অন্য যুক্তি না থাকলে সেই সারদা!! আমার মজা লাগছে। এই কমরেডকুল শয়নে, স্বপনে, জাগরণে আমাকে নিয়ে চিন্তিত। তাই সন্ধে থেকে শুরু কালকের ওই ছবি, যা আমি জানতামও না ( জানলে বলতাম হ্যাঁ আমিই করিয়েছি), তাতেও আমার ছায়া আবিষ্কার করে এই আর্তনাদ, আমার চমৎকার লাগছে।
কচি কমরেডকুল, সুকুমার রায় পড়ুন। এমন লম্ফঝম্পে পাগলা দাশুর ছাপ স্পষ্ট। ভুল লোকের পিছনে লাগার বিষয়ে 'নতুন পন্ডিত' গল্পটা পড়তে পারেন।
আর হ্যাঁ, যে কোনও ইস্যুতে যুক্তি হারিয়ে সারদা টানাটা মজাদার। যুক্তির দেউলিয়াপনা প্রমাণ করে। একঘেয়ে হয়ে যাচ্ছে। আমার জেলজীবনের নতুন ভিডিও লাগলে বলবেন, পাঠিয়ে দেব। রিপিটেশন জমে না।
পাগলা দাশু...
শতরূপ ঘোষ লেখেন, আজ আমার ভাইঝিকে নিয়ে জামা কিনতে গেছিলাম। এখন দেখি চোর্কুনালের পোর্টাল দূর থেকে ছবি তুলে এটা পোস্ট করেছে। প্রসঙ্গত বলি, আমি বা আমার দল কোনোদিন কাউকে বারণ করিনি উৎসবে শামিল হতে। বলেছি, মানুষ তো উৎসব করবেই। কিন্তু শাসক উৎসবকে প্রতিবাদের বিকল্প প্যাকেজ হিসেবে উপস্থিত করতে চাইছে কেন? ধর্ষণের প্রতিবাদ হলে চোর্কুনাল আর ওর নেত্রীর কেন চুলকুনি হয়? মানুষ উৎসবে ফিরলে কি চোর্কুনাল আর ওর দলের লোকেরা ধর্ষণে ফিরতে পারবে? সেক্ষেত্রে কারা উৎসবে ফিরবে সেপ্রসঙ্গ গৌণ। জরুরি হল, চোর্কুনাল জেলে ফিরুক। .. আর একটা কথা। জামাটা সৎ পথে আয় করা টাকায় কিনেছি। শুনেছি একবার নাকি একজনের আণ্ডারওয়্যারটা সারদার টাকা কেনা বলে CBI বাজেয়াপ্ত করে নিয়েছিল।