নিজস্ব সংবাদদাতা: আরজি কর ইস্যুতে ফের উত্তাল বঙ্গ। গতকাল এই মামলায় সন্দীপ ঘোষ এবং অভিজিৎ মণ্ডল জামিন পাওয়ার পরই ফের ক্ষুব্ধ জুনিয়র ডক্টরস্ ফ্রন্ট থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ প্রত্যেকে। আর এবার তা নিয়ে ফের আক্রমণাত্মক তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।
এদিন নিজের এক্স হ্যান্ডেলে কুণাল ঘোষ লেখেন, “RGKar! অভয়ার মৃত্যু ভয়াবহ। নিন্দার। প্রতিবাদের।
কিন্তু সেটা ভাঙিয়ে সুযোগসন্ধানীদের ব্যক্তিগত কেরিয়ার বা রাজনীতির পরিকল্পিত নাটক করা হয়েছিল। কারা সিবিআই ডেকে এনেছে? কারা সূত্র বলে গল্প ছেড়েছে? কারা টিভিতে একই ছাপ মারা মুখ বসিয়ে দিনের পর দিন মানুষকে ভুল বুঝিয়েছে? কারা প্রথমে ময়নাতদন্তের সব ঠিকঠাক বলে সই করেও পরে তা গোপন করে বিপ্লবী সেজেছে?
শিয়ালদা কোর্টে বিচার চলছে দোষীর (ধরেছিল কলকাতা পুলিশ)। সুপ্রিম কোর্ট মনিটর করেছে। আপনাদেরও আইনজীবীরা ছিলেন। কোনো অসঙ্গতি নেই। উল্টে আপনাদের আইনজীবী বদল হয়েছে একাধিকবার।
ডাক্তারদের গোষ্ঠীবাজি, কিছু ব্যক্তির ধান্ধাবাজি, কিছু রাজনৈতিক অপচেষ্টা, মিডিয়ার টিআরপির লড়াই, বাংলাদেশের অস্থিরতার টাটকা অনুপ্রেরণা।
কী ভেবেছিলেন? ফেসবুক পোস্টকে মান্যতা দিয়ে কোর্ট আপনাদের ইচ্ছেমত লোকদের ফাঁসি দেবে? কলকাতা পুলিশ খারাপ, এখন সিবিআই খারাপ, শিয়ালদা কোর্টে নাকি বিচার হচ্ছে না, সুপ্রিম কোর্টে আস্থা নেই; এই বেয়াদপি বরদাস্ত হবে? অপছন্দ হলেই সেটিং তত্ত্ব? তাহলে সিবিআইকে নেমতন্ন করে এনেছিলেন কেন????
অভয়ার মৃত্যুকে ঘিরে নিজেদের আখের গোছানো কয়েকটা ধান্ধাবাজের গায়ে লেগেছে। মানসিক হতাশা থেকে এখনও আরও বিষ ছড়াবে। তোলা টাকার দখল রাখতে ফের মোমবাতি কেনার নাটক হবে।
এদের জন্যেই আসল দোষীর ফাঁসির রায়তে বিলম্ব হচ্ছে। ওদিকে কুলতলি, ফরাক্কার ঘটনায় ফাঁসি ঘোষিত দুমাসে।
আরজিকর কেন্দ্রিক নাটকবাজ, স্বার্থান্বেষীরা মানুষের আবেগ নিয়ে ছেলেখেলা করে নিজের ধান্ধাপূরণের চেষ্টা করেছে।
এরা আর সঞ্জয় রাই, মুদ্রার এপিঠ, ওপিঠ”।
এদিন কার্যত এই ভাষাতেই জুনিয়র চিকিৎসকদের এবং বিরোধী দলের নেতা-নেত্রীদের তুলোধনা করেছেন কুণাল ঘোষ। যদিও এর পাল্টা কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।