'রাজ্য সরকারের তিন বছরের পরিশ্রম সার্থক', কেন এমন বললেন মুখ্যমন্ত্রী?

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতাকে ভারতের সেমিকন্ডাক্টর বিপ্লবের কেন্দ্র হিসেবে তুলে ধরেছেন। তিনি রাজ্য সরকারের প্রচেষ্টা ও আমেরিকার বিনিয়োগের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন, যা জাতীয় নিরাপত্তার জন্যও গুরুত্বপূর্ণ।

author-image
Debapriya Sarkar
New Update
Mamata Banerjee

নিজস্ব প্রতিবেদন : মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন যে কলকাতা ভারতের সেমিকন্ডাক্টর বিপ্লবের নেতৃত্ব দেবে। তিনি উল্লেখ করেছেন যে রাজ্য সরকার এই বিনিয়োগের জন্য ব্যাপক চেষ্টা করেছে এবং আমেরিকার সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। এই উদ্যোগটি কলকাতাকে প্রযুক্তি ও শিল্পের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করতে সহায়ক হবে।

Mamata Banerjee Claver Smile.jpg

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুক্রবার এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন যে, কলকাতা ভারতের সেমিকন্ডাক্টর বিপ্লবের নেতৃত্ব দিতে চলেছে। তিনি রাজ্য সরকারের প্রচেষ্টার কথা উল্লেখ করে জানান, "রাজ্যে নতুন প্রযুক্তি এবং বিনিয়োগ আনার জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকার যে নিরলস চেষ্টা করেছে, তার ফলেই আমেরিকা থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিনিয়োগের প্রস্তাব এসেছে। এতে রাজ্যের দক্ষতা এবং ক্ষমতাই প্রকাশ পায়।" তিনি আরো বলেছেন, "আমাদের ওয়েবেল তিন বছর ধরে আমেরিকার সঙ্গে কাজ করছে। এই সেমিকন্ডাক্টর চুক্তির ঘোষণাটি প্রধানমন্ত্রীর মাধ্যমে হলেও এটি রাজ্যের সাফল্য।" মমতা আরও বলেন, "এই উদ্যোগ জাতীয় নিরাপত্তার জন্যও গুরুত্বপূর্ণ হবে।"

 

modimam2

বৃহস্পতিবার নবান্নে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বৈঠকের পরেই সেমিকন্ডাক্টর কারখানা নিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমেরিকা কথা হওয়ার প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, তার নেপথ্যে রয়েছে রাজ্য সরকারের তিন বছরের পরিশ্রম। এই প্রসঙ্গে এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন , "আমাদের ওয়েবেল তিন বছর ধরে আমেরিকার সঙ্গে কাজ করছে। সেমিকন্ডাক্টর চুক্তির ঘোষণাটুকু শুধু হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর মাধ্যমে। কিন্তু এটা আমাদের সাফল্য।" শুক্রবারও তাঁর টুইটে সেই কথাই স্পষ্ট।

modi biden12.jpg

টুইটারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরো লিখেছেন যে, "আমাদের বিশ্ব বাংলা গড়ার আকাঙ্ক্ষা পূরণ হচ্ছে। জাতীয় নিরাপত্তার জন্যও দারুণ কার্যকর হতে চলেছে এই সেমিকন্ডাক্টর কারখানা। বৃহস্পতিবার ভারত সরকার যে টুইট করেছিল, তাতে সে কথাই বলা হয়েছে।" তিনি জানিয়েছেন, এ জন্য আমেরিকার সরকার এবং কর্পোরেট সংস্থার কাছে কৃতজ্ঞ থাকবেন। তাঁর কথায়, "বিশ্বের মানচিত্রে আবার উল্লেখযোগ্য স্থান হিসাবে নিদর্শন রাখবে বাংলা।"