পুজোর আগে সুখবর! শনি-রবিবার বাড়ছে মেট্রো

পুজোর আগের শনি এবং রবিবারগুলিতে রাস্তাঘাটের অবস্থা দেখলে কান্না পায় যাত্রীদের। প্রচন্ড ভিড়ে চিড়েচ্যাপ্টা হয়েও শপিং করতে হবেই। এবার সুরাহা বের করল মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ।

author-image
Anusmita Bhattacharya
New Update
11111

ফাইল ছবি

নিজস্ব সংবাদদাতা: আর মাস খানেক পরেই সপ্তমী। অর্থাৎ দুর্গাপুজোর সেই বহু প্রতীক্ষিত দিনগুলি শুরু হয়ে যাবে। পুজোর আগে প্রতি বছর কেনাকাটার ভিড়ে বাজার তো বটেই, চাপ বাড়ে যানবাহন চলাচলের উপরও। বেড়ে যায় ট্রাফিক জ্যামও। সময়মতো পরিবহণ না পেলে অতিরিক্ত যাত্রীর চাপে শহর কলকাতার পথঘাটে অচলাবস্থা তৈরী হয়। মেট্রো রেলেও একই ছবি দেখা যায়। বিভিন্ন শপিং মলের নিকটবর্তী মেট্রো স্টেশনগুলিতে প্রচুর ভিড় হতে থাকে এই সময় থেকেই। আর সেসব কথা মাথায় রেখে এই বছর পুজোর আগে থেকেই সপ্তাহান্তে বাড়তি মেট্রো চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার কলকাতা মেট্রোরেলের তরফ থেকে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়েছে যে এই সপ্তাহের শনি ও রবিবার থেকে অতিরিক্ত মেট্রো চলবে ব্লু লাইন অর্থাৎ দক্ষিণেশ্বর-কবি সুভাষ রুটে।

আগামী পরশু অর্থাৎ ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে বাড়তি মেট্রো পরিষেবা। চলবে ১৫ অক্টোবর অর্থাৎ পুজোর আগের সপ্তাহের শনিবার ও রবিবার পর্যন্ত। এছাড়া বিশেষ মেট্রো চলবে ২ অক্টোবর গান্ধীজয়ন্তীর দিনেও। ওই দিন ২৩৪টি মেট্রো চালানো হবে বলে জানা গেছে। শনিবার অর্থাৎ ২৩, ৩০ সেপ্টেম্বর এবং ৭ ও ১৪ অক্টোবর পাওয়া যাবে এই বিশেষ মেট্রো। রবিবার অর্থাৎ ২৪ সেপ্টেম্বর এবং ১, ৮, ১৫ অক্টোবরও একই পরিষেবা পাবেন যাত্রীরা। এই শনি ও রবিবারগুলিতে ২৩৪টি মেট্রোর বদলে আপ ও ডাউনে ১৪৪টি করে মোট ২৮৮ টি মেট্রো পরিষেবা পাবেন। এই দিনগুলিতে প্রথম এবং শেষ মেট্রোর সময় একই রাখা হচ্ছে, এমনই জানানো হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।

সারাবছর সপ্তাহান্তে ব্যস্ত লাইনে মেট্রো সংখ্যা একটু কম দেখা যায়। কিন্তু পুজোয় কেনাকাটা, প্রস্তুতির জন্য ভিড়ের কথা মাথায় রেখে এবার পুজোর আগে থেকে শনি ও রবিবার বিশেষ মেট্রো চালানোর সিদ্ধান্ত মেট্রো কর্তৃপক্ষ নেওয়ায় খুশি মানুষ। বৃহস্পতিবার বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এই সুখবর জানিয়ে দিয়েছেন মেট্রোর মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র। তাতে স্বস্তি পাবে যাত্রীরা। এর ফলে যেমন রাস্তায় যান চলাচলের ব্যাঘাত ঘটবে না তেমন সাধারণ মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে রাস্তায় চলাচল করতে পারবে আর তার পাশাপাশি দুর্ঘটনার সংখ্যাও কমবে বলে অনুমান করা যাচ্ছে। এছাড়াও মেট্রোর উপর অতিরিক্ত চাপও সৃষ্টি হবে না। কারণ অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় মেট্রোর ভেতরে অতিরিক্ত ভিড়ের ফলে শ্বাসকষ্ট হতে শুরু করে অথবা দম বন্ধ হওয়ার মতো অবস্থা তৈরি হয়।