নিজস্ব সংবাদদাতা: কলকাতায় রাস্তায় যুবককে কুপিয়ে খুনের ঘটনায় পুলিশের ওপর সাধারণ মানুষের অসন্তোষ বেড়েছে। পুলিশ কিয়স্ক থেকে মাত্র ২০০ মিটার দূরে ঘটনাটি ঘটেছে। তারপরেও অভিযুক্ত যুবক কী করে পালিয়ে যেতে পারে। কলকাতা তবে কি দিনের আলোতেও নিরাপদ নয়, প্রশ্ন তুলছেন সাধারণ মানুষ।
চিৎপুরের কৃষ্ণলাল দাস রোডে শুক্রবার সকালে এক যুবককে কুপিয়ে খুনের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ সূত্রের খবর, নিহতের নাম শেখ দুলারা। শুক্রবার সকাল পৌনে নটা নগাদ যুবক শিবু নামের অন্য এক যুবকের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন। সেখান থেকে হাতাহাতি হয়। এরমধ্যেই শিবু ধারাল অস্ত্র নিয়ে যুবকের গলায় আঘাত করে। দ্রুত ঘটনাস্থলে প্রত্যক্ষদর্শীরা ছুটে আসে। আহত যুবককে আরজি করে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকারা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এরপরেই স্থানীয় মানুষ ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তাঁরা পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেছেন, সামনেই পুলিশ কিয়স্ক থাকলেও, সেখানে পুলিশ দেখতে পাওয়া যায় না। মৃত যুবকের ভাইয়ের অভিযোগ আগেও অভিযুক্ত শিবু তাঁর দাদার ওপর হামলা চালিয়েছিল। সেই সময় তাঁর একটা আঙুল কেটে নেয় অভিযুক্ত। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই শুক্রবার শিবুর সঙ্গে শেখ দুলারার বচসা হয়ে বলে মৃতের পরিবারের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান নেওয়া হয়েছে। পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজের ভিডিও সংগ্রহ করছে। ঘটনা কী হয়েছিল, সেই নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। তবে পুলিশ ইতিমধ্যে শিবু রায় ও সোনু মল্লিক নামের দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, চুরির মাল ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে ঝামেলা হয়। সেখান থেকেই বচসা। শিবু রায় সেই কারণেই খুন করেছে।