নিজস্ব প্রতিবেদন : জুনিয়র ডাক্তারদের পূর্ণ কর্মবিরতি নিয়ে পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হচ্ছে। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, দাবি না মানলে ডাক্তারদের সেবা প্রদান বন্ধ করা এক ধরনের "থ্রেট কালচার"। তিনি জানান, হাসপাতালে রোগীরা সেবা নিতে আসে, সিনেমা দেখতে নয়। তিনি আরও চ্যালেঞ্জ করেছেন যে, যদি জুনিয়র ডাক্তাররা ১৪ অগাস্টের ঘটনার পুনরাবৃত্তি করতে পারে, তবে তা দেখাতে হবে। পরিস্থিতি এখন স্বাস্থ্য পরিষেবার উপর প্রভাব ফেলছে এবং দ্রুত সমাধান প্রয়োজন।
জুনিয়র ডাক্তারদের ৫৪ দিনের বিচার দাবিতে ফের মহামিছিলের ডাক উঠেছে। কলেজ স্কোয়ার থেকে রবীন্দ্র সদন পর্যন্ত বিশাল সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে, যেখানে ৫৫টি সংগঠন এবং ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান, মহামেডানের সমর্থকরা যোগ দেবে। মহালয়ার দিন বুধবার, জুনিয়র ডাক্তারদের ফ্রন্টের ডাকে কলেজ স্কোয়ার থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মহামিছিল অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে সিনিয়র ডাক্তাররাও অংশ নেবেন।
কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতির বিরুদ্ধে তীব্র ভাষায় বলেন, তারা বাংলাকে শোকস্তব্ধ করতে চেয়েছিল, কিন্তু এর জবাব দিয়ে দুর্গা পুজো হবে। পরিস্থিতি এখন আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ভারতীয় সংবিধানের ২১ নম্বর ধারার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে বলেছেন, সুপ্রিম কোর্টকে চাপ দিয়ে নিজেদের রাস্তায় আনা সম্ভব নয়। তিনি অভিযোগ করেছেন, জুনিয়র ডাক্তাররা ঘোমটার আড়ালে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে কাজ করছে।
কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন, লক্ষ লক্ষ মানুষের প্রতি অবিচার হচ্ছে, এবং হাসপাতালে লাইভ স্ট্রিমিংয়ের মাধ্যমে ডাক্তারদের কার্যকলাপ দেখানোর দাবি জানিয়েছেন। কল্যাণ বলেন, দুর্গাপুজোর সময় কর্মবিরতি বন্ধ করে রোজগার বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা হচ্ছে। এছাড়া, যারা দুর্গাপুজো বন্ধের কথা বলেছিল, তাদের উদ্দেশে তীব্র কটাক্ষ করে তিনি বলেছেন, 'যারা বলেছিল দুর্গাপুজা করতে হবে না তারা তো ফিতে কাটতে চলে গেছে। কলকাতায় যারা আছে তারা আনন্দ ফুর্তি করবে না! শোকস্তব্ধ হয়ে থাকবে?', কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মন্তব্যে স্পষ্ট বোঝা যায় যে তিনি আন্দোলন সামিল হওয়ায় অভিনেতা-অভিনেত্রীদেরও কটাক্ষ করে এই কথা বলেছেন।