নিজস্ব সংবাদদাতাঃ প্রাথমিক নিয়োগের একাধিক মামলা রয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। ইতিমধ্যেই তার তদন্ত করছে ইডি এবং সিবিআই।প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বিচারপতি অমৃতা সিনহার প্রশ্নের মুখে একসঙ্গে পড়ল সিবিআই-ইডি। প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কলকাতা হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ করল সিবিআই। বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে। তদন্তে অগ্রগতি কোথায়? সিবিআইয়ের কাছে জানতে চাইল কলকাতা হাইকোর্ট। তদন্তে যথাযথ অগ্রগতি কোথায়? সত্য খুঁজতে আর কতদিন সময় লাগবে? কত দ্রুত তদন্ত শেষ করতে পারবেন? সিবিআইকে প্রশ্ন করলেন বিচারপতি। এর আগে শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে রিপোর্ট জমা দেয়নি সিবিআই। তারা সময় চেয়েছিল। কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দেয় যে আগামী শুনানিতে এই দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে রিপোর্ট জমা দিতে হবে। সেই শুনানি হল আজ।
অভিষেক-কুন্তলের চিঠি সম্পর্কিত তদন্ত প্রায় পঞ্চাশ শতাংশ হয়েছে, কলকাতা হাইকোর্টে দাবি করলেন সিবিআইয়ের আধিকারিকরা। জেলের সিসিটিভি ফুটেজ কলকাতা হাইকোর্টের কাছে রয়েছে, না পেলে তদন্ত শেষ করা সম্ভব নয়, আদালতে জানাল সিবিআই। ইতিমধ্যে ২ ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে, আদালতে এমনই তথ্য দিল সিবিআই। এখনও পর্যন্ত ৩০০ কোটি টাকার দুর্নীতির সন্ধান পাওয়া গেছে বলে আদালতে দাবি করলেন ইডির আইনজীবী। আপনাদের আধিকারিকরা তদন্তে দক্ষ তো? ইডিকে পাল্টা প্রশ্ন বিচারপতির। নিশ্চয়ই, উত্তরে জানাল ইডি। জেলে কুন্তল ঘোষের ওপর নজর রাখছেন জেল সুপার, জানায় ইডি। এছাড়াও কুন্তল ঘোষের সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণ করবেন জেল সুপার। আদালত চাইলে সেই ফুটেজ পেশ করতে হবে এবার আদালতে, নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট।
সম্প্রতি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় হয়েছে বিচারপতি বদল। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলা বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে সরে বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে পাঠানো হয়েছে। দেশের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি পি এস নরসিমার বেঞ্চ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস মুখপাত্র কুণাল ঘোষের নাম নিয়ে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে বলতে শোনা যায়, ‘কুণাল ঘোষকে প্রণাম জানাব। কারণ, তিনি যে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন তা মিলে গিয়েছে। তিনি এত বড় ভবিষ্যৎদ্রষ্টা আমার জানা ছিল না’।
হাইকোর্টের নির্দেশে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় একাধিক শিক্ষকের চাকরি গিয়েছে। ২০১৪-র প্রাথমিকের টেট পরীক্ষায় ২০২০ সালে নিয়োগে গড়মিলের অভিযোগ এনে ইডি-সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট।