নিজস্ব সংবাদদাতা: কলকাতার আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের মামলার (RG Kar Case) রায় ঘোষণা শনিবার। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই (CBI) আগেই ধৃত সঞ্জয়ের 'ক্যাপিটাল পানিশমেন্ট' বা মৃত্যুদণ্ডের দাবি জানিয়েছিল। আর এই পরিস্থিতি তে শিয়ালদার অতিরিক্ত মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের আদালত এবার ধৃত সঞ্জয়কে ফাঁসি দেয় কি না, সেদিকেই নজর রয়েছে সবার। আরজি কর মামলায় শিয়ালদা আদালতে সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছিল মোট ৫০ জনের। এর আগে কলকাতা পুলিশের মতোই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই দাবি করে যে, সঞ্জয় রায়ই এই মামলায় একমাত্র দোষী।
তবে আগে আরজিকর হাসপাতালে চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা সামনে আসার ঠিক ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সঞ্জয়কে ধরেছিল পুলিশ। আর পরে কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে সেই তদন্তভার যায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের কাছে। আর এই তদন্ত করে সিবিআই সঞ্জয় রায়ের নামে চার্জশিট পেশ করে। সেই চার্জশিটের ভিত্তিতে এবার মামলার চার্জ গঠন করে বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল গত ১১ নভেম্বর তারিখে। এই আবহে ঘটনার বিচার প্রক্রিয়া শুরুর প্রায় ২ মাস আর সেই নৃশংস ঘটনার ঠিক ৫ মাস ৯ দিন পর মামলার রায় ঘোষণা করা হবে আগামীকাল।
এর আগে ধৃত সঞ্জয় দাবি করেছিল, সরকার তাকে ফাঁসাচ্ছে। এমনকী সে আরও অভিযোগ তোলে যে, ডিপার্টমেন্ট নাকি তাকে ভয় দেখিয়ে চুপ থাকতে বলেছে। আর এদিকে সিবিআই চার্জশিটে সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে তিন কী কী প্রমাণ আছে? চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ওই সিসিটিভি ফুটেজ হল প্রথম প্রমাণ, যা থেকে জানা গিয়েছে যে, গত ৯ অগস্ট ভোরবেলা আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চারতলায় যায় সঞ্জয় রায়। দ্বিতীয় প্রমাণ সঞ্জয়ের মোবাইল টাওয়ার লোকেশন। তা নিশ্চিত করেছে যে সেই রাতে ধৃত সঞ্জয় আরজিকর হাসপাতালে ছিল। আর এদিকে তৃতীয় প্রমাণ হল ডিএনএ। খুন হওয়া চিকিৎসকের দেহে মেলা ডিএনএ-র সঙ্গে মিলে গিয়েছে ধৃত সঞ্জয়ের ডিএনএ।