নিজস্ব প্রতিবেদন : আজ নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে জুনিয়র চিকিৎসকদের একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এই বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জুনিয়র ডাক্তারদের উদ্দেশ্যে একাধিক গুরুতর অভিযোগ তুলে ধরেন, যা তাঁদের জন্য একটি বড় ধাক্কার মতো কাজ করে।
মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেন যে, জুনিয়র ডাক্তারদের মধ্যে বেশ কিছু সমস্যা রয়েছে এবং তাঁরা যে কার্যকলাপ করছেন তা সঠিক নয়। মমতা ব্যানার্জি এই বিষয়ে জুনিয়র চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে তিনটি মাস্টার্স স্ট্রোক দেন, সেগুলি হল-
১. ৫৬৩ জন জুনিয়র ডাক্তার আন্দোলনের সময় স্বাস্থ্যসাথী টাকায় বিভিন্ন প্রাইভেট হাসপাতালে কাজ করে টাকা নিয়েছে, যা একটি ক্রিমিনাল অফেন্স। এই বিষয়ে তাঁর কাছে পুরো লিস্ট রয়েছে এবং প্রয়োজনে তিনি সেটি দেখাতে পারেন।
২. মমতা মেডিকেল পরীক্ষার স্বচ্ছতার দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, অনেক পরীক্ষায় পার্শিয়ালিটি হয়। যদি কেন্দ্র সরকারের কোনো এজেন্সিকে দিয়ে খাতা চেক করানো হয়, তাহলে অনেক কিছু বেরিয়ে আসবে। এর ফলে চিকিৎসকদের মধ্যে অস্বস্তির সৃষ্টি হয়।
৩. মুখ্যমন্ত্রী আরো বলেন, জুনিয়র চিকিৎসকদের গ্রামে পাঠানো হয়, কিন্তু অনেক সময় খবর আসে যে, তাঁরা পাঁচ দিন কলকাতাতেই থেকে যায়। ফলে গ্রামে পাঠানোর উদ্দেশ্য সফল হয় না।
বৈঠকের শেষে, এই কঠোর কথাবার্তার পর জুনিয়র চিকিৎসকরা অনশন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেন। তাঁরা উপলব্ধি করেন যে, আন্দোলনের পাশাপাশি তাঁদের পেশাগত দায়িত্বও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি একটি স্ব-মূল্যায়ন এবং পেশাগত নৈতিকতার পুনরুজ্জীবন করার সুযোগ তৈরি করে। জুনিয়র চিকিৎসকরা আশা করছেন, সরকারের সঙ্গে এই ধরনের আলোচনার মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নত হবে এবং তাঁদের পেশাদারিত্বও বৃদ্ধি পাবে।