নিজস্ব সংবাদদাতা: ৯ আগস্ট আরজি করে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়। তারপর থেকে লাগাতার জুনিয়র চিকিৎসকরা আন্দোলন করছেন। জুনিয়র চিকিৎসকদের সমর্থন করছেন সিনিয়র চিকিৎসকরা। বর্তমানে ১০ দফা দাবি নিয়ে জুনিয়র চিকিৎসকরা অনশন করছেন। অনশনের ১৪ দিনের মাথায় জুনিয়র চিকিৎসকদের ধরনা মঞ্চে উপস্থিত হন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। মনোজ পন্থের মোবাইলে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে জুনিয়র চিকিৎসকরা কথা বলেন। মুখ্যমন্ত্রী জুনিয়র চিকিৎসকদের কাছে ১০ দফা দাবি শুনতে চান।
এই প্রসঙ্গে জুনিয়র চিকিৎসকরা মনঃক্ষুন্ন। তাঁরা বলেন, আন্দোলনের ৭১দিন হয়ে গেছে, এখনও মুখ্যমন্ত্রী ১০ দফা দাবিই জানেন না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চিকিৎসকদের বলেন, ‘পায়ে ধরে অনুরোধ করছি। অনশন তুলুন। আমি দিদি হিসেবে বলছি। আন্দোলন থেকে সরে এসো। কাজে যোগ দাও। আমি মানবিকতার পক্ষে। আমিও জাস্টিস চাই। কিন্তু হাসপাতালে যদি সাধারণ মানুষ পরিষেবা না পান তাঁরা কোথায় যাবেন? আদালতে মামলা চলছে। বিচার মিলবে। আমি আমার সাধ্য মতো চেষ্টা করব।’
মুখ্যসচিবের পর সাংবাদিদের সঙ্গে কথা বলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। তাঁরা বলেন, ‘৭১ দিন পরেও শুনতে হচ্ছে উনি দাবিগুলিই জানেন না! সোমবার আমরা ওঁর দেওয়া সময়েই বৈঠকে যাব। সরাসরি আমাদের মুখ থেকে শুনলে হয়ত ওঁর বুঝতে সুবিধা হবে।’ অন্যদিকে, মুখ্যমন্ত্রী বলেন, জুনিয়র চিকিৎসকদের সমস্ত দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে। এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকরা বলেন, "লিখিতভাবে তা জানাতে হবে, সেই সমস্ত দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে। "
1 1