নিজস্ব সংবাদদাতা: আদপেও কি কর্মবিরতি প্রত্যাহার হচ্ছে? আজকের ঘটনা যেন উত্তেজনার পারদ আরও চড়াচ্ছে। ওয়াই চ্যানেলে জুনিয়র চিকিৎসকদের মিছিলে পুলিশের ধরপাকড়। জুনিয়র চিকিৎসকদের মিছিলে বাধা পুলিশের। এমনকি বলপূর্বক সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টাও করা হল। আর এরপরই একটি বিষয় জোরদার হয়ে যাচ্ছে। এরপরও কি পূর্ণ কর্মবিরতি প্রত্যাহার করবে ডাক্তাররা?
অবস্থান মঞ্চের পথেই কর্মবিরতি প্রত্যাহারের সম্ভাবনা ছিল। শুক্রবার দুপুরে এসএসকেএম থেকে মিছিল করে ধর্মতলায় আসেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। তারপর ধর্মতলায় জমায়েত হন সকলে। পরিকল্পনা ছিল, সেখান থেকেই ঘোষণা করা হতে পারে কর্মবিরতি তুলে নেওয়ার কথা। এসএসকেএম থেকে মেট্রো চ্যানেল পর্যন্ত ছিল মিছিল। এরই মাঝে ঘটে ছন্দপতন।
ওয়াই চ্যানেলে দাঁড়িয়ে থাকা জুনিয়র চিকিৎসকদের রাস্তা ফাঁকা করতে বলে পুলিশ। এমনকি তাঁদের সাথেই থাকা ম্যাটাডোরগুলিকেও ফিরে যেতে বলে। তখন চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তারা চিকিৎসক, তাঁদের কর্মসূচীর জন্যেই তারা বাকিদের জন্যে অপেক্ষা করছে। তাঁদের পরিচয় শোনার পরও কার্যত ডিউটিরত পুলিশ, সিভিকরা তাঁদের বলপূর্বক, চ্যাংদোলা করে সেখান থেকে সরিয়ে দেয়। এমনকি জুনিয়র চিকিৎসকদের ওপর লাথি মারার অভিযোগও ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে।
এই খবর জানাজানি হতেই, বাকি চিকিৎসকেরাও সেখানে চলে আসেন। পুলিশের সাথে কথা কাটাকাটিতে জরিয়ে পড়েন চিকিৎসকেরা। এমনকি পুলিশকে ‘ধিক্কার’ স্লোগানও শুনতে হয়। কেন তারা এই ঘটনা ঘটালো, কার অনুমতিতে এই কাজ করলো তা জানতে চায় জুনিয়র চিকিৎসকেরা।
যদিও এই বিষয়ে পুলিশের বক্তব্য, ধর্মতলা অবরুদ্ধ হয়ে পড়ছিল, যানজটের সৃষ্টি হচ্ছিল। তাই তারা তাঁদেরকে ওয়াই চ্যানেল ছাড়তে বলেন। তবে পুলিশের এই যুক্তি মানতে নারাজ আন্দোলনকারীরা। কেননা এই মিছিলের আগাম অনুমতি নেওয়া ছিল। তাহলে তারপরও কীভাবে ঘটতে পারে এই ঘটনা?
স্বাভাবিক ভাবেই, এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে এই মুহুর্তে জুনিয়র চিকিৎসকেরা মেট্রো চ্যানেলে অবস্থানে বসেছেন। যতক্ষণ না পুলিশ ক্ষমা চায়, ততোক্ষণ তারা সেখানেই অবস্থানে বসবেন বলেই জানা যাচ্ছে। আর তাতেই বোঝা যাচ্ছে, এবার পূর্ণ কর্মবিরতি প্রত্যাহার বিশ বাঁও জলে!