নিজস্ব সংবাদদাতা: ৪৯ জনকে সাসপেন্ড নিয়ে পদত্যাগ নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, সরকারকে না জানিয়ে কীভাবে এই ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়। এই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীকে জানানো হয়, যাঁদেরকে সাসপেন্ড করা হয়েছে, তাঁদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত প্রমাণ রয়েছে।অনিকেত মাহাতো এই প্রসঙ্গে বলেন, আরজি কর-সাগর দত্ত এবং উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে যাঁরা ভর্তি হয়েছে তাঁদের এমন কিছু ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে তাঁরা নটোরিয়াস ক্রিমিন্যাল।
মেডিক্যাল কলেজগুলোতে নির্বাচন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে ফের সরব হলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। তাঁরা জানান, গণতান্ত্রিক পরিবেশে নির্বাচন না হলে থ্রেট কালচার বন্ধ হবে না। আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসক স্পষ্ট করে বলে দেন, আমরা চাই না ভবিষ্যতে যেন আরও বিরূপাক্ষ তৈরি হোক। অন্যদিকে, মুখ্যমন্ত্রী অভিযুক্ত এই চিকিৎসকদের নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, যে নেই, তার নাম নিয়ে আলোচনা করতে চাই না। বিরূপাক্ষের নাম শোনার পরেই কার্যত বিরক্তি প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, ২০২৫ সালের মার্চের আগেই হাসপাতালগুলোতে নির্বাচন হবে।
যে ১০ দফা দাবি নিয়ে জুনিয়র চিকিৎসকরা আন্দোলন করেছিলেন, অনশন করছেন, তার মধ্যে অন্যতম মেডিক্যাল কলেজগুলোতে গণতান্ত্রিক উপায়ে নির্বাচন। শনিবার মুখ্যসচিব অনশন মঞ্চে যান। সেখানে মুখ্যসচিবের ফোন থেকে মুখ্যমন্ত্রীর ফোন থেকে জুনিয়র চিকিৎসকরা কথা বলেন। তখনই মুখ্যমন্ত্রী নবান্নে বিকেল পাঁচটার সময় বৈঠকের কথা জানিয়ে দেন। সেই সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, সমস্ত মেডিক্যাল কলেজগুলোতে নির্বাচন তিন-চার মাসের আগে করা সম্ভব নয়। থ্রেট কালচার নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে জুনিয়র চিকিৎসকরা বৈঠক করছেন। মুখ্যমন্ত্রী বিনা প্রমাণে সাসপেন্ডের বিরোধিতা করেন । যদিও জানানো হয়েছে, প্রমাণ ও সিস্টেমের পরেই তাদের সাসপেন্ড করা হয়েছে।