নিজস্ব প্রতিবেদন : জুনিয়র চিকিৎসকরা নিজেদের দাবিদাওয়া নিয়ে আমরণ অনশন চালিয়ে যাওয়ার মাঝে, রাজ্যের সরকারি হাসপাতালের নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয় সুপ্রিম কোর্টে উঠে এসেছে। আদালতে রাজ্য সরকারের হলফনামা জমা হলেও, চিকিৎসকদের আইনজীবী করুণা নন্দী তার সত্যতা নস্যাৎ করেছেন। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় ন্যাশনাল টাস্ক ফোর্সের কার্যক্রমের গতি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন এবং ৯ সেপ্টেম্বরের পর তাদের কোনও বৈঠক হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন।
সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা জানিয়েছেন, দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের জন্য অন্তর্বর্তী রিপোর্ট জমা দিতে দেরি হচ্ছে। রাজ্য দাবি করেছে, ১৮টি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ৯০-৯৮ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে এবং আর জি করের কাজ ৩১ অক্টোবরের মধ্যে শেষ হবে। তবে, নন্দী অভিযোগ করেছেন যে রাজ্যের দাবির কোনো ভিত্তি নেই।
রাজ্য জানিয়েছে, নিরাপত্তা খাতে ১২৩ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে এবং ১৫১৪ নিরাপত্তারক্ষী প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। আদালত জানিয়েছেন, রাজ্যের হলফনামা উপেক্ষা করা যাবে না এবং রোগী কল্যাণ সমিতির পরিবর্তে ইন্টেগ্রেটেড হসপিটাল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম গ্রহণ করা হয়েছে। এদিকে, আইনজীবী নন্দী চিকিৎসকদের নিরাপত্তা কমিটিতে রাখার প্রস্তাব করেছেন, যাতে তাদের মতামত যুক্ত হয়।